ইসলামে চুরির শাস্তি
ইসলামে চুরির শাস্তি: (Chatgpt ও অন্যান্য কিছু জায়গা থেকে সংগ্রহ করা)
ইসলামে চুরি করার জন্য হাত কাটার শাস্তি প্রযোজ্য হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পত্তি চুরির শর্ত রয়েছে। ইসলামী ফিকহ অনুযায়ী, সাধারণত চুরির জন্য শাস্তি কার্যকর করার ন্যূনতম সীমা (নিসাব) হলো প্রায় ১০ দিরহাম বা তার সমতুল্য সম্পদ। সমকালীন মূল্যে, এটি প্রায় ৪.২৫ গ্রাম সোনা বা তার সমতুল্য মুদ্রা বা সম্পদের পরিমাণ বোঝায়।
তবে, এই শাস্তি আরোপ করার আগে কিছু শর্ত পূরণ হওয়া আবশ্যক:
1. শরিয়া বা ইসলামিক আইন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর যদি কেউ চুরি করে।
2. চুরির স্থান: চুরি এমন একটি নিরাপদ জায়গা থেকে হতে হবে যেখানে সম্পত্তি সংরক্ষিত ছিলো।
3. সাক্ষী: নির্ভরযোগ্য দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতি থাকতে হবে।
4. ইচ্ছাকৃত চুরি: কাজটি সম্পূর্ণ সচেতন ও ইচ্ছাকৃতভাবে হতে হবে।
5. দারিদ্র্যের অজুহাত না থাকা: চোর যদি চরম দারিদ্র্যের কারণে চুরি করে, তবে শাস্তি কার্যকর করা হয় না।
6. চুরি হওয়া সম্পদের মালিকানা: চুরি হওয়া সম্পদ প্রকৃত মালিকের হতে হবে অর্থাৎ যার থেকে চুরি করা হয়েছে সে যেনো আসল মালিক হয়; আমার কোনো জিনিস চুরি হয়েছে পরে আমার নিজের জিনিস আমি নিজেই চুরি করে নিয়ে এসেছি এমন ক্ষেত্রে শাস্তি হবে না।
[] বাংলাদেশে সোনার দাম (২০২৪) :
২২ ক্যারেট সোনা ১১,৭৯৩ টাকা (প্রতি গ্রাম)
২১ ক্যারেট সোনা ১১,২৫৭ টাকা (প্রতি গ্রাম)
১৮ ক্যারেট সোনা ৯,৬৪৯ টাকা (প্রতি গ্রাম)
কারোর চুরির ব্যাপারটি যদি বিচারকের নিকট না পৌঁছায় এবং সে এতে অভ্যস্তও নয় এমনকি সে উক্ত কাজ থেকে অতিসত্বর তাওবা করে নেক আমলে মনোনিবেশ করে তখন আল্লাহ্ তা'আলা তার তাওবা কবুল করবেন। এমতাবস্থায় তার ব্যাপারটি বিচারকের নিকট না পৌঁছানোই উত্তম।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«فَمَنْ تَابَ مِنْ بَعْدِ ظُلْمِهِ وَأَصْلَحَ فَإِنَّ اللهَ يَتُوْبُ عَلَيْهِ، إِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٍ»
"অনন্তর যে ব্যক্তি যুলুম তথা চুরি করার পর (আল্লাহ্ তা'আলার নিকট) তাওবা করে এবং নিজ আমলকে সংশোধন করে নেয় তবে আল্লাহ্ তা'আলা তার তাওবা কবুল করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা'আলা পরম ক্ষমাশীল অতিশয় দয়ালু"। (মায়িদাহ্: ৩৮)
এছাড়া শাসক বা বিচারকের অধিকার রয়েছে পরিস্থিতি বিবেচনা করে শাস্তি কার্যকর করা বা না করার। ইসলামের উদ্দেশ্য কাউকে কষ্ট দেয়া নয়, বরং সমাজে ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
এই বিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে ইসলামী আইন অনুযায়ী যথাযথ প্রক্রিয়া ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা আবশ্যক।
Comments
Post a Comment