দার্শনিক নানা বিষয় একত্রে :

 দার্শনিক নানা বিষয় একত্রে :


চিন্তা করেছে ও লিখেছে: আহসানুল ইরফান


— বিসমিল্লাহ —


⚫ 01— বিবেচনা :


⬛ ক. সবকিছুই কিছু একটা। কেবল শূন্যতা (nothingness) কিছু নয়।

⬛ খ. প্রত্যেক কিছুর সাথে অন্য প্রত্যেক কিছুর নির্দিষ্ট পরিমাণ মিল ও নির্দিষ্ট পরিমাণ অমিল আছে কোনো না কোনো ভাবে বা দিক থেকে।

⬛ গ. ভুল মিল থেকে হয়।

⬛ ঘ. নির্দিষ্ট এক কিছু সেই নির্দিষ্ট কিছু নয় এমন হতে পরে না। প্রকৃত সত্য প্রকৃত মিথ্যা হতে পারে না এবং তত্ত্ব কখনো ভুল হয় না, তত্ত্বের সীমাবদ্ধতা থাকে।

⬛ ঙ. জ্ঞানতত্ত্ব: জ্ঞান কী? অভিজ্ঞতা কী? ও reasoning কী?

⬛ চ. অভিজ্ঞতা ও reasoning দুইটা একত্রে আলোচনা।

⬛ ছ. প্রত্যেক বিশ্বাসের পেছনে কারণ থাকে আর সে কারণটাও হলো জ্ঞান।

⬛ জ. বিবেচনা করতে প্রয়োজনীয় আরও কিছু জানার বিষয়।

⬛ ঝ. সন্দেহ ও বিভ্রান্তি সম্পর্কিত লেখা: যেগুলো সন্দেহ করা যায় না।


⚫ 02—  সুক্ষ্ম কিছু বিষয়ের পার্থক্য :


⬛ A. সময় কী?

⬛ B. "সময়"  বনাম  "চাঁদ, জগৎ, পানি.." বনাম "1, 2, 3, 4..." বনাম  "কীভাবে, কী রকম, কি কি.." বনাম "সৌন্দর্য"।


⚫ 03— মানুষের সকল অনুভূতি আপেক্ষিক। ভালো, খারাপ, সুন্দর, অসুন্দর.... এগুলো অপেক্ষাকৃতভাবে মানুষের কাছে খারাপ মনে হয়, ভালো মনে হয়, বেশি মনে হয়... আবার কমন-আনকমনের ওপর নির্ভর করেও কারো কাছে এটা ভালো কিন্তু অন্য কারো কাছে ওটা খারাপ, কারো কাছে এটা সঠিক আবার কারো কাছে ওটা ভুল... আমাদেরকে দেখতে হবে আল্লাহ কী বলেন।


⚫ 04— অহংকার, অবহেলা, হিংসা, অপছন্দ, ঘৃণা ও আশা।


⚫ 05— আল্লাহ এমনভাবে করেন যাতে অনেকে বিশ্বাস করে আবার অনেকে সন্দেও করে।


⚫ 06— ধর্মীয় কয়েকটি কথা।


[][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][]



⚫ 01— বিবেচনা :


⬛ ক> সবকিছুই কিছু একটা, কেবল শূন্যতা (nothingness) কিছু নয় :


সবকিছুই কিছু একটা তা তরল হোক, বায়বীয় হোক, প্লাজমা হোক, কঠিন হোক, এনার্জির যে form-এই থাকুক না কেন তা কিছু।

কেবল nothingness অর্থাৎ শূন্যতা কিছু নয়, কিন্তু শূন্যতা এই চিন্তা বা মস্তিকে এই শব্দ কিছু।


> ধরুন কিছুই নেই; পদার্থ নেই, space নেই, সৃষ্টিকর্তা নেই; কিছুই নেই। একেবারেই শূন্যতা। এমন শূন্যতা হলো nothingness.


যদি আমি বলি, "তাই, কিছু, এভাবে, ওরকম..." এগুলো মস্তিষ্কে কিছু একটা, অতি সামান্য হলেও। ভুলও কিছু একটা আর তা মস্তিষ্কে।


[] অনেক কিছু মস্তিকে, অনেককিছু মনে, অনেক কিছু মস্তিষ্ক, মোন ও শরীরের বাইরে যেমন: চেয়ার, টেবিল...। অনেক কিছুর এক similar copy form মস্তিষ্কে। যেমন: কল্পনিক চেয়ার, কাল্পনিক টেবিল...

____________________________________________________

____________________________________________________

⬛ খ> প্রত্যেক কিছুর সাথে অন্য প্রত্যেক কিছুর নির্দিষ্ট পরিমাণ মিল ও অমিল আছে কোনো না কোনো ভাবে বা দিক থেকে :


[] একটি জিনিস কখনো একই সাথে আরেকটি জিনিস হতে পারে না, সময়, জায়গা এবং অন্যন্য নানাকিছু মিলে নির্দিষ্ট একটি কেবল সেটিই। একটি সম্পূর্ণ চেয়ার একই সাথে একটি সম্পূর্ণ টেবিল হতে পারে না, একটি সম্পূর্ণ বেড়াল একই সাথে এক সম্পূর্ণ কুকুর হতে পারে না, প্রকৃত সত্য একই সাথে প্রকৃত মিথ্যা হতে পারে না।...


প্রত্যেক কিছুর সাথে অন্য প্রত্যেক কিছুর সময়, জায়গা এবং অন্যন্য নানাকিছু মিলে নির্দিষ্ট পরিমাণ মিল ও নির্দিষ্ট পরিমাণ অমিল আছে।

(ধরুন কিছুই নেই; পদার্থ নেই, space নেই, সৃষ্টিকর্তাও নেই; কিছুই নেই। একেবারেই শূন্যতা। এমন শূন্যতা হলো nothingness.)


[] Space অর্থাৎ ফাঁকা স্থানও কিছু, আমার হাতও কিছু। তাহলে আমি বলতে পারি এ দুটার ভেতর মিল আছে অর্থাৎ space ও আমার হাতের ভেতর মিল আছে। আমার হাত কিছু এবং space-ও কিছু; এই তো মিল। আবার অমিলও আছে, যেমন: আমার হাত material, কিন্তু space Material নয়।


[] বলা হয় আমাদের মহাবিশ্ব প্রসারিত হচ্ছে তাহলে আমাদের মহাবিশ্বের শেষ কিনারা থাকতে পারে আর তা অতী সামান্য হলেও আঁকাবাঁকা হবে এবং তা গভীরেভাবে বিশ্লেষণ করলে আরও আঁকাবাঁকা দেখা যাবে। আমি বলতে পারি আমার হাত ও space-এর ভেতর মিল আছে৷ আমার হাত আঁকাবাঁকা এবং space-ও আঁকাবাঁকা; এই তো মিল। আবার অমিলও আছে। যেমন: আমার হাত material, কিন্তু space Material নয়, আমার হাত ছোটো, space বড়ো।...


[] সবচেয়ে বড়ো কতো বড়ো তা কখনো জানা সম্ভব নয় ঠিক তেমনি সবচেয়ে ছোট কতো ছোটো তা জানা সম্ভব নয়, একটি কিছু অতি ছোট থেকে অতি ছোট হতে থাকতে পারবে। তাই material নির্দিষ্ট সামান্য কিছুর সাথে অন্য নির্দিষ্ট material-এর সামান্য কিছুর নির্দিষ্ট পরিমাণ মিল ও অমিল থাকবে।


[] ফোনের এই "1" এবং এই "1" এক 1 নয়।


কারণ দুটাই কিছু। দুটাই something, nothing নয়। তা আলো হলেও তা কিছু। নির্দিষ্ট পরিমাণ আলোর সাথে অন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ আলোর নির্দিষ্ট পরিমাণ মিল ও অমিল আছে; সময়, জায়গা ও বাকি সবকিছু মিলে। আর আলো হলো ফোটোন কণা।


◼️ MORE EXAMPLES :


[[কাপ]+[কাপ]+[কাপ]]


ধরুন, আমি একবার button Press করলাম প্রথম কাপ উচু হলো, দ্বিতীয় বার button Press করলাম দ্বিতীয় কাপ উচু হলো এবং তৃতীত বার button Press করলাম তৃতীয় কাপ উচু হলো।


কিন্তু একটি কাপ ভেতর থেকে বাইরে পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে একইসাথে আরেকটি কাপ হতে পারে না, কারণ তা কিছু, তা কিছুই নয় এমন নয়, তা আলো হলেও তা "কিছু"। একটি কখনো একই সাথে আরেকটি হতে পারে না। সময়, জায়গা ও ভেতর থেকে বাইরে পর্যন্ত নির্দিষ্ট কিছুর সাথে অন্য নির্দিষ্ট কিছুর নির্দিষ্ট পরিমাণ মিল ও অমিলও থাকবে।


[] প্রত্যেক ঘটনার সাথে অন্য প্রত্যেক ঘটনার অতি সামান্য হলেও নির্দিষ্ট পরিমাণ মিল ও নির্দিষ্ট পরিমাণ অমিল থাকবে।

> একটি ঘটনা কিন্তু স্রষ্টা সহ সৃষ্টির সবকিছু মিলে এক ঘটনা, বা যা কিছু আছে সে সব মিলে এক ঘটনা।


[বাতাসের পরিবর্তন+ঠিক ঐ সময়ে আমার মনের ভেতরে নির্দিষ্ট পরিবর্তন+ঠিক ঐ সময়ে মস্তিষ্কের ভেতরে নির্দিষ্ট পরিবর্তন+ঠিক ঐ সময়ে নিজের শরীরের জয়গার পরিবর্তন+ঠিক ঐ সময়ে আশেপাশের পরিবর্তন...] এক কথায় স্রষ্টা সহ সৃষ্টির যা কিছু আছে তা ধরুন 1 মিলি সেকেন্ডের জন্য এদিক সেদিক হলো=এক ঘটনা।


আমি একবার হাত নড়ালাম+যা কিছু আছে [বাতাসের পরিবর্তন+ঠিক ঐ সময়ে মনের পরিবর্তন+ঠিক ঐ সময়ে গ্রহ নক্ষত্রের পরিবর্তন, ঠিক ঐ সময়ে আশেপাশের পরিবর্তন, এ সবকিছু মিলে এক নির্দিষ্ট ঘটনা--------------------------------(a)

ঠিক একইভাবে দ্বিতীয় বার হাত নড়ালাম+যা কিছু আছে[বাতাসের পরিবর্তন+ঠিক ঐ সময়ে মনের পরিবর্তন+ ঠিক ঐ সময়ে গ্রহ নক্ষত্রের পরিবর্তন, ঠিক ঐ সময়ে আশেপাশের পরিবর্তন, এ সবকিছু মিলে আরেক ঘটনা-----------------------------(b)


a≠b. a-এর সাথে b-এর নির্দিষ্ট পরিমাণ পার্থক্য আছে।

আবার a-এর সাথে b-এর নির্দিষ্ট পরিমাণ মিলও আছে৷


[-]  আহসানুল ইরফান vi machine নামক এক machine দিয়ে রফিক, শফিক ও আতিকের বুক স্ক্যান করে দেখলো তাদের বুকের ভেতর নির্দিষ্ট এক মিল আছে।


ইরফান ঐ নির্দিষ্ট মিলকে নাম দিলো D.


সে এই D-কে কাজে লাগিয়ে dico machine নামক এক machine বানালো।


সে জাইম নামের এক ছেলের বুক dico machine দিয়ে স্ক্যান করে দেখলো D মিলে গেছে। ইরফান বলল, "জাইম →রফিক, শফিক ও আতিকের মতোই সাহসী মানুষ।"


তারপর ইরফান নাইম নামের এক ছেলের বুক dico machine দিয়ে স্ক্যান করলো এবং দেখলো D মিলছে না। ইরফান বললো "নাইম →রফিক, শফিক এবং আতিকের মতো সাহসী নয়।"।


কিন্তু বিজ্ঞানী সাকিল এসে dico machine দিয়ে জাইমের বুক স্ক্যান করে বলল, "না, জাইমের মোন সামান্য অন্য রকম।"


তাই ইরফান আবার নতুন করে নিখুঁতভাবে D রেকর্ড করে dico machine বানালো এবং দ্বিতীয়বার আবার D মিল করল। ইরফান বললো, "জাইম→ রফিক, শফিক ও আতিকের মতোই সাহসী মানুষ।"


কিন্তু, বিজ্ঞানী সাকিল এবার আরও উন্নত এক dico machine দিয়ে জাইমের বুক স্ক্যান করে বলল, "না, জাইমের মোন অতি সামান্য অন্য রকম৷"


[-] নাইম একটি চতুর্ভুজ আঁকলো।

শাফিন একটু চতুর্ভুজ আঁকলো।

আবির একটি চতুর্ভুজ আঁকলো।


বিজ্ঞানী সাকিল দেখল নাইমের চতুর্ভুজের ওপরে একটু বাঁকা, তাই সে বললো এই চতুর্ভুজ=a

শাফিনের চতুর্ভুজ সামান্য বাঁকা, তাই এই চতুর্ভুজ=b

ইরফানের চতুর্ভুজ অতি সামান্য বাঁকা, তাই এই চতুর্ভুজ=c


ইরফান যখন জানতে পারলো তার চতুর্ভুজ একটু বাঁকা তখন সে এক নিখুঁত পেন্সিল ব্যবহার করে আরও নিখুঁতভাবে এক চতুর্ভুজ আঁকলো এবং তখন বিজ্ঞানী সকিল উন্নত এক Microscope দিয়ে দেখলো যে ইরফানের নতুন চতুর্ভুজটা এখনও আঁকাবাঁকা এবং বিজ্ঞানী সাকিল বললো, "এই চতুর্ভুজ=d"


বিজ্ঞানী সাকিল বললো, "a≠b≠c≠d."


a যেহেতু একটু বাকা ফলে ভিন্ন তাই সাকিল a-এর নাম দিলো "এন্ড্রিয়া"।


আবার b সামান্য বাকা হওয়ার কারণে যেহেতু তা ভিন্ন তাই সাকিল b-এর নাম দিলো "বাইন"।


আবার, c অতি সামান্য বাকার জন্য যেগেতু তা ভিন্ন তাই সাকিল c-এর নাম দিলো "ছেড"। 


আবার, d যেহেতু অতি সামান্য আঁকাবাঁকা তাই সাকিল d-এর নাম দিলো "সিলো"।


তারপর বিজ্ঞানী সাকিল বললো, শুনো এই সবগুলোর ভেতর শুধু অমিল নেই, এসবকিছুর ভেতর মিলও আছে। অমিলের জন্য এগুলোকে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা যেতে পারে৷ কিন্তু মিলের জন্য এগুলোকে "চতুর্ভুজ" বলা হোক।


[[]] দুটি জিনিস কখনোই সম্পূর্ণভাবে মিলবে না৷


[-] শিক্ষক এক ঘড়িতে সামান্য লাল রং দেখলেন।

আর এক কলমে সামান্য লাল রং দেখলেন।


যেহেতু দুটাতেই লাল রং আছে তাই তিনি বললেন, "এদের ভেতর মিল আছে, এদুটাকে এক নামে ডাকা হোক। এ দুটাকে "লিডো" বলে ডাকা হোক।"


[-] আমার হাতের সাথে দেয়ালের নির্দিষ্ট পরিমাণ মিল আছে৷ আমার হাত সমান, দেয়ালও সমান; এই তো মিল।


[-] আমি সপ্নে এক বেড়াল দেখলাম। তারপর বিজ্ঞানী সকিলকে বললাম আমি স্বপ্নে এক বেড়াল দেখেছি। তার কয়েক দিন পর আমি আমার সপ্নটা সম্পূর্ণভাবে ভুলে গেছি। বিজ্ঞানী সাকিলের মস্তিষ্কে কয় দিন পর প্রশ্ন এলো "ইরফান কি বাস্তবেই স্বপ্নে বেড়াল দেখেছে?" বিজ্ঞানী সাকিল আমার কাছে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করলো, "ইরফান তুমি কি সত্যিই স্বপ্নে বেড়াল দেখেছো?" আমি বললাম "কি যে, আমার মনে নেই।"


এখন বিজ্ঞানী সাকিল এটা জানতে খুবই আগ্রহী যে আমি সত্যিই বেড়াল দেখেছি নাকি দেখিনি। আমি ভুলে যাওয়ার জন্যও আমার মস্তিষ্কে, হৃৎপিন্ডে ও বাতাসে এ সবকিছু মিলে অতি থেকে অতি সামান্য এক নির্দিষ্ট পরিবর্তন ঘটেছে৷ ঐ পরিবর্তনকে যদি কাজে লাগানো হয়, আর ঐ পরিবর্তনের পূর্বে কেমন ছিল তা যদি গবেষণা করে বের করা হয় তাহলে বের করা যাবে যে "আমি স্বপ্নে বেড়াল দেখেছি"।


((-)) কিন্তু যদি অতিরিক্ত সন্দেহ করা হয় তাহলে ফলাফল সম্পর্কে কখনো নিশ্চিত হওয়া যাবে না। কারণ প্রত্যেক কিছুর সাথে অন্য প্রত্যেক কিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ মিল এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ অমিল আছে।


[-] আমি এক রাবার টানলাম তারপর রাবারটি লম্বা হয়ে আগের মতো হয়ে গেলো। আমি বিজ্ঞানী সাকিলকে বললাম আমি এক রাবার টেনেছিলাম। তার কয়দিন পর আমি ভুলে গেছি৷ বিজ্ঞানী সাকিলের মনে প্রশ্ন জাগলো "ইরফান কি সত্যিই রাবারটি টেনেছিল" রাবার, আমার মন, মস্তিষ্ক ও আশপাশ এ সবকিছু মিলে অতি থেকে অতি সামান্য নির্দিষ্ট পরিবর্তন ঘটেছে। ঐ পরিবর্তনকে কাজে লাগিয়ে বের করা সম্ভব ইরফান রাবারটি টেনেছিল।


((-)) কিন্তু যদি অতিরিক্ত সন্দেহ করা হয় তাহলে ফলাফল সম্পর্কে কখনো নিশ্চিত হওয়া যাবে না। কারণ প্রত্যেক কিছুর সাথে অন্য প্রত্যেক কিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ মিল এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ অমিল আছে।


[[]] একটির বেশি হলেই কিছু কখনো perfect নয়, আর একটি জিনিস অতী সামান্য থেকেও সামান্য হতে পারে, বড় ও অতী সামান্যতার শেষ নেই। তাই একটি কখনো সম্পূর্ণভাবে একটি হবে না। একটি জিনিসকে বিশ্লেষণ করলে আরও নানা অংশ পাওয়া যাবে, আবার সে সব নানা অংশের একটি অংশকে ভাঙলে আরও নানা অংশ পাওয়া যাবে, তাই একটি জিনিস কখনোই সম্পূর্ণভাবে একটি নয়। 


Perfection কী? = একই রকমের দুটি জিনিস বানানো হলো। তার ভেতর একটি perfect, অপরটি perfect নয়। এখন যেটা perfect নয় সেটা কিসের সাপেক্ষে perfect নয়? = অপরটির সাপেক্ষে। কিন্তু যদি কেবল একটি থাকতো তাহলে সেটাকে perfect নয় বলা যেতো না। যখনই কোনো কিছুকে বলা হচ্ছে তা perfect নয় তখন সেটা অন্য কোনো কিছুর সাপেক্ষে বলা হচ্ছে যে perfect নয়। যা অন্য কোনোকিছু তা এক imagination-ও হতে পারে।



[[--]] একটি জিনিসকে ভেঙে দেখা গেলো কিছু নিল কণা। আবার সে নিল কণাগুলোকে ভেঙে দেখা গেলো আবারও আরও ছোটো নিল কণা। সে আরও ছোটো নিল কণাগুলোকে ভেঙে দেখা গেলো আরও ছোটো অনেক নিল কণা.....

[[--]] একটি জিনিসকে ভেঙে দেখা গেলো তার ভেতর ছোটো ছোটো ভিন্ন কিছু। সেই ছোটো ছোটো ভিন্নকিছুকে ভেঙে দেখা গেলো আরও ছোটো ছোটো নতুন ভিন্ন কিছু। আর সে ছোটো ছোটো নতুন কিছুকে ভেঙে দেখা গেলো আবারও নতুন ভিন্নকিছু.....

____________________________________________________

____________________________________________________

⬛ গ> ভুল মিল থেকে হয় :


বিভ্রান্তি বা ভুল=প্রকৃতপক্ষে যেটা তার নির্দিষ্ট পরিমাণ অনুরুপ এবং অন্যকিছু প্রকৃতপক্ষে যা তার নির্দিষ্ট পরিমাণ অনুরুপ; এমন এক বা একাধিক মিলে নতুন নির্দিষ্ট কিছু যা কেউ মনে করতে পারে আছে বা হবে বা করা যাবে...কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নেই বা হবে না বা করা যাবে না....


[-]  নাহিদ "Welcome" না বলে ভুলে "Thank come" বললো। কারণ "Welcome"-এর সাথে "Thank come"-এর মিল আছে।


[-] ইরফান হঠাৎ একটি জিনিস হাত থেকে ভুলে ফেলে দিলো। এক ছোট বাচ্চা ওটা দেখে ভেবলো ইরফান হয়তো ইচ্চাকৃতভাবে ফেলে দিয়েছে।


এখানে, ইচ্ছাকৃতভাবে ফেলে দেয়ার সাথে হঠাৎ ফেলে দেয়ার কিছুটা হলেও মিল আছে।


ইচ্ছাকৃতভাবে ফেলে দেয়া হলো: [ইচ্ছাকৃতভাবে তাই মনে এক নির্দিষ্ট কিছু (=i) + হাত থেকে ফেলে দেয়া যা নির্দিষ্ট কিছু (=h)]------(A)


হাত থেকে হঠাৎ পড়ে গেলো: [হাত থেকে পড়ে যাওয়া যা নির্দিষ্ট কিছু(=h)]---------------------------------------------------------------(B)


A ও B এর মধ্যে পার্থক্য হলো A তে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেলে দেয়ার কারণে মনে নির্দিষ্ট কিছু (i) আছে কিন্তু B তে তা নেই।


A ও B দুটাতেই h আছে কিন্তু B তে h থাকলেও i নেই।


[-] এক ছোট বাচ্চার সামনে দিয়ে এক খেলনা বাস গড়ে গেলো আর তার প্লাস্টিকের পুতুলটি ভেঙ্গে গেলো। ছোট বাচ্চাটা ভাবলো বাসটা অন্যায়কারী। এখানে অন্যায়কারীর সাথে বাসটার অতি সামান্য হলেও ("অতি" সামান্য হলেও) মিল আছে তাই ছোট বাচ্চাটা ভেবেছে খেলনা বাসটা অন্যায়কারী।


অন্যায়কারী=[ইচ্ছাকৃতভাবে তাই মনে এক নির্দিষ্ট কিছু (=i) + ক্রিয়া (=k) + অন্যায়কারীর ওপরের গঠন (=u)....]-------(A)


খেলনা বাস চলে যাওয়া=[বাসের গঠন (bg) + চলে যাওয়া (=cg)....]----------------------------------------------------------(B)


k-এর সাথে ch-এর মিল আছে অর্থাৎ ঘটনার সাথে ক্রিয়ার মিল আছে।


u এর সাথে bg এর মিল আছে অর্থাৎ মানুষের গঠনের সাথে খেলনা বাসের মিল আছে কিছুটা হলেও।


এই দুই কারণে ছোট বাচ্চাটা ভেবেছে খেলনা গাড়িটা হয়তো অন্যায়কারী।


[-] আইন্সটাইন ভাবলো অতীতে যাওয়া যেতে পারে।


বাস্তবে যাওয়া=[জগতের কোনো এক জায়গায় যাওয়া]


অতীত=[মস্তিষ্কের স্মৃতি]


জগতের জায়গার সাথে স্মৃতির মিল আছে তাই আইনস্টাইন ভেবেছে যেহেতু বগুড়ায় যাওয়া যায়, ঢাকায় যাওয়া যায় তাহলে অতীতেও যাওয়া যাবে।


অতীত কোনো জায়গা নয়। বগুড়া জায়গা, ঢাকা জায়গা৷ অতীত স্মৃতি, আর যা স্মৃতি তা মস্তিষ্কে নির্দিষ্ট কিছু।

ভবিষ্যৎ কোনো জায়গা নয়। ঘর জায়গা, চাঁদ এক জায়গা। ভবিষ্যৎ এক ধারণা অথবা কল্পনা, যা মস্তিষ্কে নির্দিষ্ট কিছু।


ধরো, মহাবিশ্বে কোনো কিছুই নেই, শুধু space (ফাঁকা জায়গা) আর তুমি আছো, তুমি কোনো রকম নড়াচড়া করছো না —সামান্যও নয়, তাহলে কি সময় বলে কিছু থাকবে? আমরা কল্পনার ভেতরও হিসেব করতে পারি তাই বলে কি কল্পনা জায়গা? আমরা বাতাস experience করছি তাই বলে কি সময় জায়গা? আমি আমার হাত এক পাশ থেকে অন্য পাশে সরালাম, প্রথমে যেখানে আমার হাত ছিলো ওটা কি এক মহাবিশ্ব যা অতীত? আর হাত সরানোর পর হাত যেখানে গেল তা কি এক নতুন মহাবিশ্ব যা বর্তমান? আমরা কল্পনা করে করে বিবেচনা করি আর মস্তিষ্কে স্মৃতি আছে তাই বার বার তুমি ধরে নিচ্ছো সময় হয়তো আছে। সময় জায়গা হিসেবে নেই, সময় বিভ্রান্তি হিসেবে মস্তিষ্কে আছে যা মস্তিকে নির্দিষ্ট কিছু।


তবে, ধরো, আমাকে এক বিশেষ technology-এর মাধ্যমে আটকিয়ে রাখা হলো যার ফলে আমার ভেতর কোনো পরিবর্তন আসছে না, কিন্তু অন্যরা মুক্ত, অন্যদের ভেতর পরিবর্তন আসছে। আমি young থেকেই গেলাম কিন্তু অন্যরা বৃদ্ধ হয়ে গেলো।


|||||||||||||||||||||


Question: নির্দিষ্ট কিছুকে যদি আমি চাঁদ ভাবি আর ওই নির্দিষ্ট কিছু যদি চাঁদ না হয় তার অর্থ হলো ওটা চাঁদ না হলেও অন্য নির্দিষ্ট কিছু আছে যেটা চাঁদ। এখন, সময় নেই পরিবর্তন আছে। তাহলে পরিবর্তনকে আমি সময় ভেবেছি। তাহলে সময় কোনটা?


Answer: সময় মস্তিষ্কের এক বিভ্রান্তি।


বিভ্রান্তি=[যেটা প্রকৃত তার কিছুটা অনুরুপ+অন্য প্রকৃত কিছুর কিছুটা অনুরুপ]=পুরোটা মিলে এক নতুন নির্দিষ্ট কিছু যা কেউ মনে করতে পারে আছে বা হবে বা করা যাবে...


|||||||||||||||||||||


[-] ধরো, ইরফান রাকিব নামে ৫ বছরের এক ছোট বাচ্চাকে রাতে এক ঝাপসা চশমা পড়ে দিলো এবং তারপর এক ল্যাবে নিয়ে গিয়ে বেধে রাখলো, ল্যাবে রাকিবকে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে খাওয়ানোর ব্যবস্থা আছে যা তার শরীরে লাগানো এবং সামনে এক কাগজের ছবি যেটা ঝাপসা চশমার কারণে দেখতে এক ভিন্ন জিনিস দেখায়। রাকিব ঐ ল্যাবেই বড়ো হচ্ছে। রাকিব প্রতিদিন ঐ জিনিস দেখে। সে ঐ জিনিসের নাম দিলো "মেনডা"। রাকিব মনে মনে চিন্তা করল আমাকে যদি কখনো ছেড়ে দেয়া হয় আমি ওটা খুলে দেখব। একদিন ইরফান এসে তার চশমা খুলে দিলো তখন রাকিব দেখলো মেনডা নেই, যা আছে তা হলো এক কাগজের ছবি যা এক ভিন্ন জিনিস আর ওটা খোলা যায় না। মেনডা এক বিভ্রান্তি। মেনডা-বিভ্রান্তি আছে, ছবি আছে, "অনেক কিছু খোলা যায়" এই যে ব্যাপারটা তা আছে অর্থাৎ "opening" ব্যাপারটা আছে কিন্তু মেনডা নেই।


| বাবলু কিন্তু ভেবেছিল সে যা দেখেছিলো তা খোলা যাবে কিন্তু ছবি খোলা সম্ভব নয়। (ছবিও খোলা সম্ভব, "খুবই" চিকন করে কেটে তারপর, কিন্তু বাবলু যেভাবে খোলা সম্ভব ভেবেছিল ওভাবে সম্ভব নয়।)


| বাবলু যা দেখেছে সে তার নামকরণও করেছে আর তা হলো "মেনডা"।


| মেনডা-বিভ্রান্তি আছে, ছবি আছে, "অনেক কিছু খোলা যায়" এই যে ব্যাপারটা তা আছে অর্থাৎ "opening" ব্যাপারটা আছে কিন্তু মেনডা নেই।


- শুধু দুটা প্রকৃত কিছুর কিছুটা অনুরুপ মিলেই যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে এমন নয়, দুয়ের অধিক প্রকৃত কয়টা কিছুর অনুরুপ মিলেও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে৷


যেমন: কেউ একই সাথে চারটি হিজিবিজি চশমা পড়লো এবং যা দেখলো ভাবলো তা আছে।


এখানে, দুয়ের একাধিক প্রকৃত কয়টা কিছুর কিছুটা অনুরুপ মিলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।


সহজভাবে বলতে পারি, বিভ্রান্তি বা ভুল হলো প্রকৃত পক্ষে যেটা এমন দুই বা একাধিকে কয়টা কিছুর কিছুটা অনুরুপ মিলে নতুন এক নির্দিষ্ট কিছু যা কেউ মনে করতে পারে আছে বা হবে বা করা যাবে....



|||| ভুলের আরও কিছু উদাহরণ :


[-] আমি ভেবেছিলাম পরীক্ষা দিলে আমার উপকার হবে, পরে দেখলাম না এতে আমার সময় নষ্ট হলো।


উপকার হবে এমন ভাবার কারণ হলো, আমি আগে দেখেছি পরীক্ষা দিলে উপকার হয় অথবা অন্য কোনো কাজ আমি দেখেছি তা করলে উপকার হয় এ কারণে আমি ভেবেছি পরীক্ষা দিলেও উপকার হবে।


তাই অন্য এক জ্ঞানের সাথে আমি যা ভেবেছি তার মিল আছে।


[-] ধরো, কেউ একটি ব্যাগের কিছুটা দেখে ভাবলো ওটা হয়তো কাপড়, পরে দেখলো না ওটা কাপড় নয়।


এখানে, কাপড়ের সাথে ব্যাগের কিছুটা মিল আছে তাই সে ভেবেছে ব্যাগটা হয়তো কাপড়।


[-] ধরো, কেউ চশমা পড়ে দেখলো রফিক অসুন্দর। পরে চশমা খুলে দেখলো রফিক সুন্দর।


সে যা দেখেছে তার সাথে অসুন্দরের মিল আছে তাই সে ভেবেছিলো রফিক অসুন্দর।


[-] ধরো, শাফিন এক 4d video-তে দেখলো বাবুল অন্যায় করছে। কিন্তু পরে দেখলো ওটা অন্যায় ছিলো না, ওটা এক 4d video।


4d ওই video-এর সাথে অন্যায়ের মিল আছে তাই সে ভাবেছে বাবুল অন্যায় করেছে।


((-)) এর আগের অংশে আলোচনা করেছি প্রত্যেক কিছুর সাথে অন্য প্রত্যেক কিছুর মিল পাওয়া যায়৷ আর এবার আলোচনা করলাম মানুষ যা ভুলে করে বা দেখে বা বোঝে..তা সঠিকটার সাথে মিল রাখে কিছুটা হলেও এবং মানুষ সঠিকটার সাথে নির্দিষ্ট পরমাণ মিল রেখে এবং অন্য এক সঠিকটার সাথে নির্দিষ্ট পরমাণ মিল রেখে- এভাবে দু বা দুয়ের অধিক কিছু মিলে এক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আর তাতে বিশ্বাস রাখে।

_____________________________________________________

_____________________________________________________

⬛ ঘ> নির্দিষ্ট কিছু সেই নির্দিষ্ট কিছু নয় এমন হতে পরে না; প্রকৃত সত্য একই সাথে প্রকৃত মিথ্যা হতে পারে না, এবং তত্ত্ব কখনো ভুল হয় না, তত্ত্বের সীমাবদ্ধতা থাকে :


◼️ নির্দিষ্ট কিছু সেই নির্দিষ্ট কিছু নয় এমন হতে পরে না; প্রকৃত সত্য প্রকৃত মিথ্যা হতে পারে না :


[?] যে ব্যাপারটা প্রকৃতপক্ষেই 1 তা কি কখনো প্রকৃতপক্ষেই 2 ব্যাপার হতে পারে?


[?] যে ব্যাপারটা প্রকৃতপক্ষেই "কীভাবে" তা কি প্রকৃতপক্ষেই "কি কি" ব্যাপার হতে পারে?


[?] নির্দিষ্ট কিছু যা চতুর্ভুজ তা কি ঐ নির্দিষ্ট চতুর্ভুজ নয় এমন হতে পারে?


- কেউ কিছুটা দেখে ভাবলো যে ওটা হয়তো চতুর্ভুল তা ভিন্ন, কিন্তু সম্পূর্ণভাবে যা চতুর্ভুজ বা বলতে পারি প্রকৃতপক্ষেই যা চতুর্ভুজ তা কি প্রকৃতপক্ষেই ত্রিভুজ হতে পারে?


[?] প্রকৃতপক্ষেই যা সুন্দর তা কি প্রকৃতপক্ষেই অসুন্দর হতে পারে?


- কেউ হিজিবিজি চশমা পড়ে ভুলভাবে দেখলো তা ভিন্ন, কিন্তু প্রকৃতপক্ষেই যা সুন্দর তা কি সম্পূর্ণভাবে অসুন্দর হতে পারে?


[?] যে ব্যাপারটা প্রকৃতপক্ষেই হিজিবিজি তা কি প্রকৃতপক্ষেই মিল মিল হতে পারে?


- প্রকৃতপক্ষেই যা চেয়ার তা কি কখনো প্রকৃতপক্ষেই টেবিল হতে পারে?


[?] যা ভুল তা গুলিয়ে ফেলা নির্দিষ্ট কিছু। এই যে গুলিয়ে ফেলা নির্দিষ্ট কিছু; যা প্রকৃতপক্ষেত্রেই গুলিয়ে ফেলা নির্দিষ্ট কিছু তা কি প্রকৃতপক্ষেত্রেই গুলিয়ে না ফেলা নির্দিষ্ট কিছু তা হতে পারে?


[?] যা প্রকৃতপক্ষেই ভুলভাবে দেখা কি প্রকৃতপক্ষেত্রেই ভুলভাবে না দেখা হতে পারে?


[?] প্রকৃতপক্ষেত্রেই থাকা কি প্রকৃতপক্ষেত্রেই না থাকা হতে পারে?


[?] প্রকৃতপক্ষেত্রেই যা সত্য তা কি কখনো প্রকৃতপক্ষেত্রেই মিথ্যা হতে পারে?


=== না। এগুলো কখনো হতে পারে না। নির্দিষ্ট কিছু সেই নির্দিষ্ট কিছু নয় এমন হতে পরে না। তবে সন্দেহ করে "হয়তো হতে পারে" এমন হিসেবে মস্তিষ্কে নেয়া যেতে পারে, আবার চিকিৎসা করে 1, 2, 3...এ ব্যাপারগুলো মস্তিষ্ক থেকে দূর করে ফেলে দেয়া যেতে পারে। যেমন: এক ৩ বছরের ছোট বাচ্চা 1 কি ব্যাপার, 2 কি ব্যাপার, 3 কি ব্যাপার এগুলো বুঝতে পারে না, এমনিতে মুখে হয়তো বলতে পারে  1, 2.. কিন্তু সে এই সব ব্যাপারগুলো বুঝতে পারে না। 


> 1, 2, 3...এগুলোর ক্ষেত্রে "হয়তো "1"  ব্যাপার "2" ব্যাপার হতে পারে" এভাবে মস্তিকে নেয়া যেতে পারে অথবা চিকিৎসা করে মস্তিষ্ক থেকে দূর করে ফেলা যেতে পারে (কেননা তারা যখন অনেক ছোটো ছিলো তখন তারা এগুলো বুঝতো না, তাই চিকিৎসা করে একজন বুঝবে না এমন করে দেয়া যেতে পারে।)।


(যেগুলো সন্দেহ করা যায় না ←এর আলোচনা "09>" নম্বরে।)


◼️তত্ত্ব কখনো ভুল হয় না তত্ত্বের সীমাবদ্ধতা থাকে :


তত্ত্ব কখনো ভুল হয় না, তত্ত্বের সীমাবদ্ধতা থাকে।

ধরো A বললো "ফোন খাতার মতো" এ কথাটা সঠিক কিন্তু কম সঠিক। তারপর B বললো "না, ফোন একটি বক্সের মতো" এ কথাও সঠিক। তারপর C বললো "না, ফোন ক্যালকুলেটরের মতো" এ কথাও সঠিক। এ সবগুলো কথায় সঠিক, কিন্তু কোনো কথা কম সঠিক আর কোনো কথা অধিক সঠিক আর একটি জিনিস কখনো আরেকটি হতে পারে না, তাই তত্ত্ব কখনো ভুল হয় না, তত্ত্বের সীমাবদ্ধতা থাকে।

_____________________________________________________

_____________________________________________________


⬛ ঙ> জ্ঞানতত্ত্ব: জ্ঞান কী? অভিজ্ঞতা কী? ও reasoning কী? :


জ্ঞান: মস্তিষ্কে যে জ্ঞান তা হয় তরল অথবা বায়বীয় অথবা জড় অথবা প্লাজমা অথবা পদার্থের অন্য কোনো রূপ অথবা ফাঁকা অথবা এগুলোর এক বা এগুলোর একাধিক।


মানুষ জন্ম নেয়ার সময় কিছু জ্ঞান নিয়ে জন্ম নেয় ফলে সে দুধ পান করতে পারে, হাত নড়াতে পারে ইত্যাদি।


◼️ মানুষ জন্ম নেয়ার সময় যে জ্ঞান নিয়ে জন্ম নেয় ঐ জ্ঞান ব্যতিত বাকি সকল জ্ঞান reasoning ও পঞ্চ ইন্দিয়ের দ্বারা অভিজ্ঞাতা করে অর্জন করে।


◾Reasoning: [এটা এভাবে; তাহলে ওটা ওভাবে হবে]←এই যে ব্যাপারটা তা হলো reasoing, [এটা এমন; তাহলে একত্রে ওরকম হবে]←এই যে ব্যাপারটা তা হলো reasoning.....


A: এটা এভাবে।

B: তাহলে ওটা ওভাবে হবে।


A থেকে B তে আসা হলো reasoning.

[A+B]=নির্ণয়ন।

A হলো premise.

B হলো ফলাফল।


Example: সে যেহেতু দুইবার বল ফেলে দিয়েছিলো। সুতরাং আবারও বল ফেলে দেবে।


A: সে যেহেতু দুইবার বল ফেলে দিয়েছিলো।

B: সুতরাং এবারও বল ফেলে দেবে।


A থেকে B তে আসা হলো reasoning.

[A+B]=নির্ণয়ন।

A হলো premise.

B হলো ফলাফল।


◾অভিজ্ঞতা: কেউ একটি আম খেলো, আমের স্বাদের যে জ্ঞান তা এক অভিজ্ঞতা, কেউ যদি স্বপ্নে কিছু দেখে- যা দেখলো তা এক অভিজ্ঞতা, কেউ যদি এক রং দেখে- দেখে মস্তিষ্কে রঙের সে জ্ঞান এক অভিজ্ঞতা।


- মানুষ পঞ্চ ইন্দিয়ের দ্বারা অভিজ্ঞতা করে জ্ঞান অর্জন করে।


- পঞ্চ ইন্দিয়: নাক, কান, চোখ, জিহ্বা ও ত্বক।


অভিজ্ঞতা অনেকটা এমন যে, ধরো আমি এক কাগজে কিছু পরিমাণ পানি ফেললাম।

কাগজ হলো মস্তিষ্ক, আর পানি হলো জ্ঞান।

_____________________________________________________

_____________________________________________________

⬛ চ> অভিজ্ঞতা ও reasoning দুটা একত্রে আলোচনা :


আরেকটা, একত্র, বিয়োগ, পৃথক, অন্য, সুতরাং....এগুলো মস্তিকে কিছু; এগুলো তরল হোক, বায়বীয় হোক, কঠিন হোক যেমনই হোক না কেন এগুলো মস্তিষ্কে কিছু।


◼ কালো ও লালের ভেতর কিছু একটা মিল আছে এ জন্য আমি বলব এ দুটা হলো "রং"।


আবার কাল ও লালের ভেতর অমিল আছে তাই আমি বলবো এটা "কালো" আর ওটা "লাল"।


[[     কালো=!|  লাল=|!     ]]----------[A]


                     ↑↑

                  (চোখ)                   

                     ↓↓

                   মস্তিষ্ক

                     ↓↓

                    !||!  -----------------------[B]


                     ::::

                      ↑

          এটা হলো "একত্র করা"

                      ↓

                     রং  -------------------------[C]


দেখার ফলে মস্তিষ্কে: !||!

মস্তিকের !||! এর সাথে "একত্র করা" ব্যাপারের অর্থাৎ :::: match করেছে তাই ফলাফল=লাল ও কালো হলো রং।


[A] থেকে [B] তে আসা হলো: অভিজ্ঞতা।

[B] থেকে [C] তে আসা হলো: reasoning.


◼ ইরফান এক ছোট বাচ্ছার সামনে এক বল ফেলে দিলো আর ছোট বাচ্চাটা বলটি নিয়ে এলো।

তারপর, ইরফান এক পেন্সিল ফেললো, বাচ্চাটা ফেন্সিল নিয়ে এলো।

তারপর, ইরফান এক রাবার হাতে নিয়ে আছে, আর বাচ্চাটা ইরফানের দিকে তাকিয়ে আছে; বাচ্চাটা ভাবছে ইরফান আবারও ফেলে দেবে।


[[    ইরফান প্রথমবার করল=/!   ইরফান দ্বিতীয়বার করল=/:   ]]-[A]


                                          ↑↑

                                       (চোখ)                   

                                          ↓↓

                                        মস্তিষ্ক

                                          ↓↓

                                          /!/:      ------------------------------------[B]


                                         /|/|

                                           ↑

                             এটা হলো "আবার"

                                           ↓

                           ইরফান আবার করবে  ----------------------------[C]


দেখার ফলে মস্তিষ্কে 'ইরফান একবার করল, দুবার করল' এবং তা=/!/:

মস্তিষ্কের /!/: এর সাথে "আবার" ব্যাপার অর্থাৎ "/|/|" match করেছে তাই ফলাফল="ইরফান আবার করবে।"


[A] থেকে [B] তে আসা হলো: অভিজ্ঞতা।

[B] থেকে [C] তে আসা হলো: reasoning.


◼ ধরো, বাবুল লিখলো: 2+2=4, 9+9=18


বাবলু "+" এর জন্য সে শিখেছে যে :::: করতে হয়, আর :::: হলো একত্র করা।


             [[    2+2    ]]--------------[A]


                     ↑↑

                  (চোখ)                   

                     ↓↓

                   মস্তিষ্ক

                     ↓↓

                    2+2 --------------------[B]


                     ::::

                      ↑

          এটা হলো "একত্র করা"

                      ↓

                      4 ----------------------[C]


:::: ←এটা সে করেছে কারণ "+" এটা ছিলো।

সে শিখেছে যে "+" থাকলে :::: করতে হয়।

আর সে নিজ ইচ্ছেতেও :::: করতে পারে, আবার চাইলে নিজ ইচ্ছেতে নাও করতে পারে।

এখানে :::: করে ফলাফল=4.


এরপর বাবুল যা করেছে তা হলো :


             [[    9+9   ]]--------------[A]


                     ↑↑

                  (চোখ)                   

                     ↓↓

                   মস্তিষ্কে

                     ↓↓

                    9+9 ------------------[B]


                     ::::

                      ↑

          এটা হলো "একত্র"

                      ↓

                     18 -------------------[C]


:::: ←এটা সে করেছে কারণ "+" এটা ছিলো।

সে শিখেছে যে "+" থাকলে :::: করতে হয়।

আর সে নিজ ইচ্ছেতেও :::: করতে পারে, আবার চাইলে নাও করতে পারে।

এখানে :::: করে ফলাফল=18.


এসব কারণে সে লিখেছে "2+2=4, 9+9=18"


[A] থেকে [B] তে আসা হলো: অভিজ্ঞতা।

[B] থেকে [C] তে আসা হলো: reasoning.


- অন্য, আরেক, এবারও, একত্র, সুতরাং....এ সবকিছুই মস্তিষ্কে কিছু।


◼️ ধরো, কেউ বলল, "আমি ঘুমোই, সুতরাং চাঁদও ঘুমোই।"


এখানে যা হয়েছে তা হলো :


আমি=মস্তিষ্কে কিছু।--------(Ka)

ঘুমোই=মস্তিষ্কে কিছু।-------(Ggi)

সুতরাং=মস্তিষ্কে কিছু।------(Ksg)

চাঁদও=মস্তিষ্কে কিছু।--------(Kcd)

ঘুমোই=মস্তিষ্কে কিছু।-------(Kgi)


Ka+Ggi+ksg+kcd+kgi="আমি ঘুমোই; সুতরাং চাঁদও ঘুমোই।"


Ka+Ggi+ksg+kcd+kgi-------------------------------------[B1]


আবার কেউ বলল, "আমি ঘুমোই বলেই যে চাঁদও ঘুমোই এমন নয়।"


আমি=মস্তিষ্কে কিছু।----------(Ka)

ঘুমোই=মস্তিষ্কে কিছু।---------(Kgi)

বলেই=মস্তিষ্কে কিছু।----------(Kbl)

যে=মস্তিষ্কে কিছু।---------------(Kj)

চাঁদও=মস্তিষ্কে কিছু।----------(Kcd)

ঘুমোই=মস্তিষ্কে কিছু।----------(Kgi)

এমন=মস্তিষ্কে কিছু।------------(Ka)

নয়=মস্তিষ্কে কিছু।--------------(Kn)


Ka+kgi+kbl+kj+kcd+kgi+ka+kn="আমি ঘুমোই বলেই যে চাঁদও ঘুমোই এমন নয়।"


Ka+kgi+kbl+kj+kcd+kgi+ka+kn-------------------[B2]


B1 বাস্তবতার সাথে কম মিল রাখে আর B2 বাস্তবতার সাথে বেশি মিল রাখে; B1 সত্য হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম।


> মস্তিকের মতো মনেও এভাবেই অনেককিছু হচ্ছে।

_____________________________________________________

_____________________________________________________

⬛ ছ> প্রত্যেক বিশ্বাসের পেছনে কারণ আছে আর কারণ হলো সামগ্রিকভাবে জ্ঞান :


বিশ্বাসের পেছনে কারণ থাকে আর কারণ সামগ্রিকভাবে জ্ঞান।

জ্ঞান কিছু।


কেউ যদি বিশ্বাস রাখে বাচ্চাটা কান্না করছে। এখানে,


[বাচ্চার চোখ+মুখ+....]


এ দুটা দেখে সে বিশ্বাস করেছে বাচ্চাটা কান্না করছে।


আর যদি বাচ্চাটা কন্নার মতো করেই ভান করে তাহলে তার মনে কিছু একটা আছে যেটা সে প্রকৃপক্ষেই কান্না করলে থাকতো না। মনের ঐ নির্দিষ্ট কিছু যদি বের করা হয় তাহলেই বের করা যাবে যে সে প্রকৃতপক্ষেই কান্না করছে নাকি করছে না।


কিন্তু ফলাফল বের করার সময় যদি অতিরিক্ত সন্দেহ করা হয় তাহলে কখনো ফলাফল সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে না কারণ প্রত্যেক কিছুর সাথে অন্য প্রত্যেক কিছুর নির্দিষ্ট পরিমাণ মিল ও অমিল আছে।


◾Reasoning-এর প্রকারভেদ :


Reasoning তিন প্রকার :


1. Deductive reasoning :


A: প্রত্যেক চতুর্ভুজের চারটি কোণ আছে।

B: আমি বিশ্বাস করি এটা চতুর্ভুজ সুতরাং এটারও চারটি কোণ আছে।


[A] থেকে [B]-তে "আসা" হলো reasoning. [A+B]=নির্ণয়ন, অর্থাৎ পুরো ব্যাপারটা হলো নির্ণয়ন।


2. Inductive reasoning :


A: বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে।

B: ইরফান ভেজা, সুতরাং সে বাইরে থেকে ভিজে এসেছে।


"A" থেকে "B" তে "আসা" হলো reasoning. [A+B]=নির্ণয়ন, অর্থাৎ পুরো ব্যাপারটা হলো নির্ণয়ন।


> এমন তো নাও হতে পারে যে সে বাইরে থেকে ভিজে এসেছে। হতে পারে সে বাথরুম থেকে গায়ে পানি ঢেলে এসেছে।


3. Abductive reasoning :


A: বাইরে বাতাস।

B: জানলা খোলা ও অনেক কাগজ পড়ে আছে।

C: যেহেতু বাইরে বাতাস তাই কাগজগুলো বাতাসের কারণে পড়ে আছে।


[A+B] থেকে [C] তে "আসা" হলো reasoning. [A+B+C]=নির্ণয়ন: অর্থাৎ পুরো ব্যাপারটা হলো নির্ণয়ন।


> এমন কিন্তু নাও হতে পারে যে বাতাসের জন্য কাগজগুলো পড়ে আছে৷

_______________________________________________________

_______________________________________________________

⬛ জ> বিবেচনা করতে প্রয়োজনীয় আরও কিছু জানার বিষয় :


[] Deductively reasoning হলো বেশি সুক্ষ্মতার সাথে বিবেচনা করা।

[] Inductive reasoning হলো কম সুক্ষ্মতার সাথে বিবেচনা করা।

[] Abductive reasoning হলো সাধারণভাবে বিবেচনা করা।


> বেশি সুক্ষ্মতার সাথে বিবেচনা করলে মানুষ ভুল ফলাফল কম পায়। কিন্তু বিবেচনা করতে সময় বেশি লাগে।

> কম সুক্ষ্মতার সাথে বিবেচনা করলে মানুষ অনেক ভুল ফলাফল পায়। কিন্তু বিবেচনা করতে কম সময় লাগে।

> সাধারণভাবে বিবেচনা করলে মানুষ ভুল ফলাফল বেশি পায়। কিন্তু বিবেচনা করতে সময় অনেক কম লাগে।


[|] মানুষের ভেতর এ মিল পাওয়া যায় যে যেটা সত্য ওটার ক্ষেত্রে সবাই একই রকম অনুভব করে। যদি কেউ বিভ্রান্তিকর কিছুকে সত্য মনে করে সেক্ষেত্রেও তাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিলে সে বিশ্বাস করবে যে সে ভুল ছিলো। সে মুখে গোড়ামি করলেও মনে মনে ঠিকই জানবে যে না এটাই সত্য।


ধরো, তোমাকে কালোকে লাল বলতে বলা হলো এবং না বললে খুন করা হবে। তুমি মুখে হয়তো লাল বলবে কিন্তু মনে মনে তুমি ঠিকই জানবে ওটা কালো।


[|] মানুষ যা কিছুই বিবেচনা করছে না কেন তা তার নিজ জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে কল্পনা করে করে বিবেচনা করছে।


[|] মানুষ তার আশাকে সত্য বানানোর চেষ্টা করে। আমি যদি আশা করি বাইরের বিল্ডিংগুলো নেই তাতেই কি বাইরের বিল্ডিংগুলো দূর (vanish) হয়ে যাবে। বাইরের বিল্ডিংগুলো আছে এটাই অধিক সত্য।


[|] নিরপেক্ষতার সাথে বিবেচনা বা বলতে পারি জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে সৎ হওয়া বা বলতে পারি নিজ ইচ্ছেকে সঠিক বানানোর চেষ্টা না করে সত্যকে জানার চেষ্টা করার দ্বারা যে জ্ঞান অর্জিত হয় তা সত্য হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রাখে। মানুষ চিন্তা করে কম্পিউটার বানিয়েছে আর কম্পিউটার কাজ করছে। কম্পিউটার কিন্তু নিজের পছন্দ-অপছন্দ জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে বানানো হয়নি বরং প্রকৃতপক্ষেই যা হয় সে জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে বানানো।


[|] সংবেদনশীলতা থেকে সন্দেহ হয়, আর সন্দেহ করে করে পার্থক্য করা হয়, আর idea দিয়ে দিয়ে সমাধান করা হয়।

সন্দেহও প্রয়োজন কারণ অনেকজন একটুতেই বিশ্বাস রাখে ফলে ভুল ফলাফল পায়। অপরদিকে অনেকজন অতিরিক্ত সন্দেহ করে ফলে একটি সাধারণ জিনিসে বিশ্বাস রাখতেই বেশি সময় নিয়ে ফেলে।


(মনে রাখবে: নির্দিষ্ট কিছু সেই নির্দিষ্ট কিছু নয় এমন হতে পরে না; প্রকৃত সত্য প্রকৃত মিথ্যা হতে পারে না: "04>" এর আলোচনা)

____________________________________________________

____________________________________________________

⬛ ঝ>  সন্দেহ ও বিভ্রান্তি সম্পর্কিত লেখা: যেগুলো সন্দেহ করা যায় না :


[] প্রত্যেক কিছুর সাথে অন্য প্রত্যেক কিছুর নির্দিষ্ট পরিমাণ মিল ও অমিল আছে ←এটা নিয়ে ওপরে "খ>" -তে আলোচনা করা হয়েছে।

যেহেতু প্রত্যেক কিছুর সাথে অন্য প্রত্যেক কিছুর নির্দিষ্ট পরিমাণ মিল আছে তাই অতিরিক্ত সন্দেহের দ্বারা নানা কিছু সন্দেহ করা যেতে পারে। যেমন: 


হয়তো এ সবকিছু পরিষ্কার সপ্ন,

হয়তো আমি আছি সব আছে আমি নেই কিছুই নেই,

হয়তো এ সবকিছু 4d video,

হয়তো আমি যতদূর গেছি ততদূর পর্যন্ত আছে তারপর আর নেই

এবং আমি যখন আরও এগোলাম তার কিছু সময় আগেই আরোটুকু সৃষ্টি হয়েছে,

হয়তো আমি অদৃশ্য কোনো চশমা পরে রোবটদেরকে মানুষ হিসেবে দেখতে পাচ্ছি....



[|] কিছু জিনিস কোনো ভাবেই সন্দেহ করা যায় না। যেমন: আমি সন্দেহ করছি এটা সন্দেহ করা যায় না। আমি ঠান্ডা অনুভব করছি, আমি যে ঠান্ডাই অনুভব করছি এটা সন্দেহ করা যায় না। আমি গরম অনুভব করছি, আমি যে গরমই অনুভব করছি এটা সন্দেহ করা যায় না। কিছু আছে এটা সন্দেহ করা যায় না।...


= অর্থাৎ ঠিক এ মূহুর্তেই মস্তিষ্কে যা আছে তা সন্দেহ করা যায় না।


◼️ অতিরিক্ত সন্দেহের ফলে "হয়তো এটা, হয়তো ওটা.." এগুলোর সমাধানমূলক ideas :


1. হয়তো এ সবকিছু পরিষ্কার স্বপ্ন।

2. হয়তো আমি আছি সব আছে আমি নেই কিছুই নেই।

3. হয়তো এ সবকিছু 4d video.

4. হয়তো আমি যতদূর গেছি ততদূর পর্যন্ত আছে তারপর আর নেই

এবং আমি যখন আরও এগোলাম তার কিছু সময় আগেই আরোটুকু সৃষ্টি হয়েছে। 

5. হয়তো আমি অদৃশ্য কোনো চশমা পরে রোবটদেরকে মানুষ হিসেবে দেখতে পাচ্ছি।

6. হয়তো 1 ব্যাপারটা 2 ব্যাপার হতে পারে।


[=] সমাধান :


= 1-এর সামাধানমূলক idea: সপ্নের সাথে বাস্তবতার মিল আছে তাই তুমি ভাবছো হয়তো এ সবকিছু হয়তো স্বপ্ন।


= 2-এর সামাধানমূলক idea: "হয়তো আমি আছি সব আছে, আমি নেই কিছুই নেই" তুমি এমনটা ভাবছো কারণ ধরো তুমি স্বপ্নে কিছু দেখলে না, আর ঘুম থেকে উঠে চিন্তা করলে ঘুম থেকে ওঠার আগে আমি কোথায় ছিলাম। আবার ধরো তুমি চিন্তা করলে জন্মের আগে আমি কোথায় ছিলাম; এ সব কল্পনা অনেক ঝাপসা। এই যে ঝাপসা তার সাথে তোলনা করে তুমি চিন্তা করেছো "হয়তো আমি আছি সব আছে, আমি নেই কিছুই নেই"।


= 3-এর সামাধানমূলক idea: 4d video-এর সাথে বাস্তবতার মিল আছে তাই তুমি ভাবছো এ সবকিছু হয়তো 4d video.


= 4-এর সামাধানমূলক idea: "হয়তো আমি যতদূর গেছি ততদূর পর্যন্ত আছে তারপর আর নেই

এবং আমি যখন আরও এগোলাম তার কিছু সময় আগেই আরোটুকু সৃষ্টি হয়েছে" তুমি এমনটা ভাবছো কারণ ধরো তুমি স্বপ্নে কিছু দেখলে না, আর ঘুম থেকে উঠে চিন্তা করলে ঘুম থেকে ওঠার আগে আমি কোথায় ছিলাম। আবার ধরো তুমি চিন্তা করলে জন্মের আগে আমি কোথায় ছিলাম; এ সব কল্পনা অনেক ঝাপসা। এই যে ঝাপসা তার সাথে তোলনা করে তুমি চিন্তা করেছো "হয়তো আমি যতদূর গেছি ততদূর পর্যন্ত আছে তারপর আর নেই

এবং আমি যখন আরও এগোলাম তার কিছু সময় আগেই আরোটুকু সৃষ্টি হয়েছে"।


= 5-এর সমাধানমূলক idea: মানুষের সাথে রোবোটের মিল আছে। তাই তুমি ভাবছো তুমি হয়তো অদৃশ্য কোনো চশমা পরে রোবোটদেরকে মানুষ হিসেবে দেখছো।


= 6-এর সামাধানমূলক idea: 1 ব্যাপারটার সাথে 2 ব্যাপাটার মিল আছে। তাই তুমি ভাবছো 1 ব্যাপারটা হয়তো কখনো 2 ব্যাপার হতে পারে।


(মনে রাখবে: নির্দিষ্ট কিছু সেই নির্দিষ্ট কিছু নয় এমন হতে পরে না; প্রকৃত সত্য প্রকৃত মিথ্যা হতে পারে না: "04>" এর আলোচনা)


[][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][]


⚫ 02—  সুক্ষ্ম কিছু বিষয়ের পার্থক্য :


⬛ A. সময় কী?

⬛ B. "সময়" বনাম  "চাঁদ, জগৎ, পানি.." বনাম "1, 2, 3, 4..." বনাম "কীভাবে, কী রকম, কি কি.." বনাম "সৌন্দর্য" :


⬛ A. সময় কী?


সময় কী?


What is time?

= Time is change.


What is the difference between speed and chance?

= More speed is more change.


সময় হলো পরিবর্তন। স্মৃতি আছে তোমার মস্তিষ্কে, অতীত নেই, অতীত বর্তমানেই তোমার মস্তিষ্কে আছে। ভবিষ্যৎ নেই, আছে কল্পনা ও ধারণা তা তোমার মস্তিষ্কে বর্তমানেই আছে। ধরো, মহাবিশ্বে কোনো কিছুই নেই, শুধু space (ফাঁকা জায়গা) আর তুমি আছো, তুমি কোনো রকম নড়াচড়া করছো না, সামান্যও নয়, তাহলে কি সময় বলে কিছু থাকবে? আমরা কল্পনার ভেতরও হিসেব করতে পারি তাই বলে কি কল্পনা বাস্তব? আমরা বাতাস experience করছি তাই বলে কি সময় আছে? আমি আমার হাত এক পাশ থেকে অন্য পাশে সরালাম, প্রথমে যেখানে আমার হাত ছিলো ওটা কি এক মহাবিশ্ব যা অতীত আর হাত সরানোর পর হাত যেখানে গেলো তা কি এক নতুন মহাবিশ্ব যা বর্তমান? আমরা কল্পনা করে করে বিবেচনা করি আর মস্তিষ্কে স্মৃতি আছে তাই বার বার তুমি ধরে নিচ্ছো সময় হয়তো আছে।


সময় মূলত যা :


ধরি কোনো জিনিস A থেকে B-তে গেলো তাহলে তা এক পরিবর্তন। আমার মুখ যদি বৃদ্ধ হয়ে যায় আর শরীরের বাকি অংশগুলো যদি তরুণ থাকে তাহলে মুখ বৃদ্ধ হওয়া হলো নির্দিষ্ট পরিমাণ পদার্থ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া৷ আমি যদি ঢাকা থেকে বগুড়ায় যায় তাহলে আমার শরীর এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাবে যা এক পরিবর্তন আর এটাকেই আমরা বলি সময়।


সবকিছু যদি থেমে যায় তাহলে সময় শূন্য আর ওসময় যদি আমি দৌড়োই তাহলে তা এক পরিবর্তন যা হলো সময়।


অতীত বলে কিছু নেই। স্মৃতি আছে আর তা বর্তমানেই আছে।


একটি বস্তু যদি দ্রুত A-------B তে যায় আর অপর একটি বস্তু যদি ধীরে A-------B তে যায় তাহলে তাদের উভয়ের পরিবর্তন সমান। দ্রুত ও ধীর মূলত আমাদের চোখের সাপেক্ষে নির্ণয় করা হয়।


ধরি, একটি বল সৃষ্টি হয়ে দ্রুত A-------B তে গেলো আর তারপর একেবারে থেমে গেলো। বলটি যখন A তে ছিলো ঠিক ওসময় আমাকে সৃষ্টি করা হলো আর আমি বলটিকে A থেকে B তে যেতে দেখলাম।


বলটির পরিবর্তন ধরি = 10. বলটি দ্রুত যাওয়ার ফলে আমি বলটি তেমন ভালোভাবে দেখতে পাইনি তাই বলটি B তে এসে থেমে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমার চোখের পরিবর্তন ধরি = 5


তাহলে বলটির পরিবর্তন = 10

আমার চোখের পরিবর্তন = 5


বলটি B তে এসে থেমে যাওয়ার পর আমি চারপাশে তাকালাম, চারপাশে তাকানোর ফলে আমার চোখের যে পরিবর্তন তা ধরি = 3


তাহলে আমার চোখের মোট পরিবর্তন = 5 + 3 = 8

আর বলটির মোট পরিবর্তন এখনো = 10


এরপর একটি কলম সৃষ্টি হয়ে A-------B তে আস্তে আস্তে গেলো আর তারপর একেবারে থেমে গেলো আর আমি তা দেখলাম।


কলমটির পরিবর্তন = 10


কলমটি যেহেতু আস্তে আস্তে গেছে তাই কলটি আমি ভালোভাবে দেখতে পেরেছি ফলে ধরি কলমটি A থেকে B তে আসার আগ পর্যন্ত কেবল তখন আমার চোখের পরিবর্তন = 7


তাহলে কলমটির পরিবর্তন = 10

কলমটি A থেকে B তে আসার আগ পর্যন্ত কেবল তখন আমার চোখের পরিবর্তন = 7

আর আমার চোখের মোট পরিবতন = 5 + 3 + 7 = 15


তাহলে A থেকে B পর্যন্ত বলটির পরিবর্তন ও কলমটির পরিবর্তন সমান যদিও বলটি দ্রুত গিয়েছিলো আর কলমটি ধীরে গিয়েছিলো। কিন্তু আমার চোখের পরিবর্তন বলটির ক্ষেত্রে এবং আমার চোখের পরিবর্তন কলমটির ক্ষেত্রে সমান নয়। দ্রুত ও ধীর মূলত আমাদের চোখের সাপেক্ষে নির্ণয় করা হয়, আর সময় হলো পরিবর্তন।


⬛ B. "সময়"  বনাম  "চাঁদ, জগৎ, পানি.." বনাম "1, 2, 3, 4..." বনাম  "কীভাবে, কী রকম, কী কী.." বনাম "সৌন্দর্য" :


◾ সময়=[পুরো মহাবিশ্বের যা কিছু আছে তার পরিবর্তন]


◾চাঁদ, পানি, আকাশ....


[চাঁদ, পানি, আকাশ = জগতের নির্দিষ্ট কিছু]=J

[মস্তিষ্ক]=M


   J →→→→→→→→→M


  ↑↑                                   ↑↑

মস্তিষ্কের বাইরে।      জ্ঞান মস্তিষ্কের ভেতরে।


চাঁদ, পানি, আকাশ এগুলোর প্রতিবিম্ব চোখে যাচ্ছে → তারপর মস্তিষ্কে আর মস্তিষ্কে জ্ঞান সৃষ্টি হচ্ছে।


◾1, 2, 3....


[জগতের নির্দিষ্ট কোনো জিনিস]=J

কোনটা 1 ব্যাপার, কোনটা 2 ব্যাপার তা বুঝার ক্ষমতা মস্তিষ্কে। মস্তিষ্ক= M, আর বুঝার ক্ষমতা = Bjk.


  J →→→→→→→→M (M=bjk +....)


   ↑↑                             ↑↑

মস্তিষ্কের বাইরে।     জ্ঞান মস্তিষ্কের ভেতরে।


◾ "কীভাবে", "কী রকম", "কোনটি".... এগুলো কি মস্তিষ্কে নাকি মস্তিষ্কের বাইরে?


[জগতের নির্দিষ্ট কোনো জিনিস]=J

কোনটা "কীভাবে" ব্যাপার, কোনটা "কী রকম" ব্যাপার তা বুঝার ক্ষমতা মস্তিষ্কে। মস্তিষ্ক= M, আর বুঝার ক্ষমতা = Bjk.


  J →→→→→→→→→→M (M= bjk +...)


  ↑↑                                ↑↑

মস্তিষ্কের বাইরে।     জ্ঞান মস্তিষ্কের ভেতরে।


◾ সৌন্দর্য: (সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে "উপভোগ" ব্যাপারটা আসে।)


[জগতের নির্দিষ্ট গঠন ও রং = জগতের নির্দিষ্ট কিছু]=J

উপভোগের জন্য যা প্রয়োজন হয় তা মস্তিষ্কে আগে থেকেই থাকে, তাই মস্তিষ্ক=M, আর উপভোগ ক্ষমতা=upvkkmt


    J→→→→→→→→→→→→M (M=upvkkmt +....) 


    ↑↑                                            ↑↑

মস্তিষ্কের বাইরে।                জ্ঞান মস্তিষ্কের ভেতরে।


                                                              

সাধারণভাবে বলতে পারি, "সৌন্দর্য গঠনে, উপভোগ মস্তিষ্কে।"


উপভোগের জন্য যা প্রয়োজন তা মস্তিষ্কে আগে থেকেই থাকে।


[[]] Subjectivity সঠিক=[আমার কাছে মনে হচ্ছে সঠিক কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সঠিক নয়।] (এক কথায়: বিভ্রান্তির সাথে সঠিক।)


এক অনুভূতি যা প্রকৃত ব্যাপারের সাথে মিল রাখে না কিন্তু সঠিক হিসেবে অনুভব হচ্ছে।


[[]] objectively সঠিক=যা প্রকৃতপক্ষেই সঠিক।


এক অনুভূতি যা প্রকৃত ব্যাপারের সাথে মিল রাখে।


[][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][]


⚫03— মানুষের সকল অনুভূতি আপেক্ষিক। ভালো, খারাপ, সুন্দর, অসুন্দর.... এগুলো অপেক্ষাকৃতভাবে মানুষের কাছে খারাপ মনে হয়, ভালো মনে হয়, বেশি মনে হয়... আবার কমন-আনকমনের ওপর নির্ভর করেও কাছে কাছে এটা ভালো কিন্তু অন্য কারো কাছে ওটা খারাপ, কারো কাছে এটা সঠিক আবার কারো কাছে ওটা ভুল... আমাদেরকে দেখতে হবে আল্লাহ কী বলেন :


[] আমি যদি বলি এই লেখাটি বড়ো। প্রশ্ন: কার চেয়ে বড়ো?

[] আবার আমি যদি বলি এই লেখাটি ছোটো। প্রশ্ন: কার চেয়ে ছোটো?

[] আমি যদি বলি এটা অনেক বেশি। প্রশ্ন: কার চেয়ে বেশি?

[] আমি যদি বলি এটা অনেক কম। প্রশ্ন: কার চেয়ে কম?


একটি জিনিস ছোটো থেকে ছোটো আরও আরও ছোটো আরও ছোটো হতে পারে। হয়তো চোখে পড়বে না কিন্তু থাকবে।

একটি জনিস বড়ো, আরও বড়ো, আরও বড়ো হতে পারে। 

= বড়ো ছোটো, কম, বেশি এগুলো আপেক্ষিক। 


|| সময়ও আপেক্ষিক, এ নিয়ে ওপরের 02— এর A-তে লেখা হয়েছে।

______________________________________________________

মানুষের সকল রকমের অনুভূতি আপেক্ষিক। ভালো, খারাপ, কষ্ট, দুঃখ, আনন্দ, প্রেম, লোভ, অবহেলা....এ সবকিছুই আপেক্ষিক। 


[-] প্রত্যেক মানুষই কিছুটা হলেও ভালো। অন্তত নিজের প্রতি ভালো। প্রত্যেকের নিজের প্রতি আবেগ আছে। কেউ নিজেকে ভালোবাসে না এমন হওয়া সম্ভব নয়। একজন চোর তার বন্ধু চোরের সাথে ভালো ব্যবহার করতে পারে, কিন্তু তার পিতামাতার সাথে ভালো ব্যবহার নাও করতে পারে। একজন তার নিজের সন্তানকে ভালোবাসতে পারে, তাকে কষ্ট নাও দিতে পারে, কিন্তু তার বাড়ির কাজের ছেলেকে ঘৃণা করতে পারে... = প্রত্যেকেই কিছুটা হলেও ভালো। কেউই সম্পূর্ণভাবে খারাপ নয়। 


— আমি যদি বলি রাকিব ভালো। প্রশ্ন: কার চেয়ে ভালো?


[-] প্রত্যেকেই কিছুটা হলেও খারাপ। খারাপ বিষয়টা যেহেতু আমি বুঝি সুতরাং আমার ভেতরেও খারাপের অনুভূতি আছে ফলে আমি খারাপ বিষয়টা বুঝি। সুতরাং আমিও কিছুটা হলেও খারাপ। আমরা দুষ্টমি করি, ঠাট্টা করি এগুলোর ভেতরও খারাপের অনুভূতি থাকে।


— আমি যদি বলি রাকিব খারাপ। প্রশ্ন: কার চেয়ে খারাপ?


প্রত্যেকেই কিছুটা হলেও লোভী, প্রত্যেকেই কিছুটা হলেও অঅন্যায়কারী, প্রত্যেকেই কিছুটা হলেও কষ্টে আছে, প্রত্যেকেই কিছুটা হলেও সুখে আছে....


(|) যে ব্যক্তি অনেক বেশি ভালো তার কাছে কিছুটা কম ভালো মানুষকে খারাপ মনে হবে। যে ব্যক্তি অনেক বেশি খারাপ তার কাছে কিছুটা কম খারাপ মানুষকে ভালো মনে হবে।

(|) যে অনেক বেশি লোভী তার কাছে কম লোভী মানুষকে লোভী মনে হবে না। আর যে ব্যক্তি অনেক কম লোভী তার কাছে কিছুটা লোভী মানুষকেই লোভী মনে হবে।

......


[] সৌন্দর্য ও অসৌন্দর্যও অপেক্ষিক।


কারো কাছে রঙিন কাপড় পরাও খারাপ মনে হতে পারে, কারো কাছে বিয়ে করাও খারাপ মনে হতে পারে, কারো কাছে খেলাধূলা করাও খারাপ মনে হতে পারে...


= কারো কাছে মনে হতে পারে চুপচাপ বসে থাকা ভালো। আর খেলাধূলা লোভনীয় তাই খেলাধুলা করা খারাপ।


= কারো কাছে মনে হতে পারে সাদা কাপড় পরা ভালো। আর রঙিন কাপড় পরা লোভনীয়। রঙিন কাপড় পরা ঠিক নয়।


আসলে আনন্দই লোভনীয়। আনন্দই মানুষের কাছে খারাপ মনে হয়। অপেক্ষাকৃতভাবে আনন্দকে খারাপ মনে হয়: যে বেশি আনন্দ করে তার কাছে কম আনন্দ করা মানুষকে ভালো মনে হবে। আর যে খুবই কম আনন্দ করে তার কাছে কিছুটা বেশি আনন্দ করা মানুষকে খারাপ মনে হবে।

______________________________________________________

কমন আনকমনের ওপর নির্ভর করেও ভালো, খারাপ, সুন্দর, অসুন্দর, কষ্ট, দুঃখ.... এগুলো অনুভব হয়: 


[-] আমরা প্রায়ই মশা মারতে দেখি তাই এটা আমাদের অনেকের কাছে অন্যায় মনে হয় না। কিন্তু আমরা প্রতিনিয়ত মানুষ খুন হতে দেখি না তাই মানুষ খুন হওয়া আমাদের কাছে খারাপ মনে হয়।


[-] যে সুন্দর জিনিস আমি প্রতিদিনই দেখি সে সুন্দর জিনিস আমার কাছে আর সুন্দর লাগবে না। নতুন কোনো সুন্দর জিনিস আমার কাছে সুন্দর লাগবে।


[-] যে খারাপ জিনিস আমি প্রতিদিনই দেখি সেটা আমার কাছে আর খারাপ মনে হবে না।

.........


[[]] যে কোনো কিছুর সীমালঙ্ঘন সমস্যাজনক। অতিরিক্ত আনন্দ করা, একেবারেই আনন্দ না করা। অতিরিক্ত ভয় করা, একেবারেই ভয় না করা। অতিরিক্ত কথা বলা, একেবারেই কথা না বলা।....


((-)) যেহেতু খারাপ, ভালো, অন্যায়, লোভ... এগুলো আপেক্ষিক এবং কমন আনকমনের ওপর নির্ভর করেও অনেককিছু মানুষের কাছে খারাপ মনে হয়, আবার অনেককিছু মানুষের কাছে ভালো মনে হয় সুতরাং বলতে পারি এগুলো সবার কাছে এক রকম নয় অর্থাৎ কারো কাছে A ভালো কিন্তু অন্য কারো কাছে A খারাপ। আবার কারো কাছে A অন্যায়কারী আবার অন্য কারো কাছে A সঠিক কাজ করেছে....


[-] কেউ মনে করে A কে ১০০ বার মারা উচিত। 

[-] কেউ মনে করে ১০০ বার বেশি হয়ে যাচ্ছে, তাকে ৫০ বার মারা উচিত। 

[-] কেউ মনে করে আমরাও তো কতো ভুল করেছি তাই A-কে ক্ষমা করা উচিত। 

[-] কেউ মনে করে এই অন্যায়ের জন্য তাকে সামান্য ক্ষমাও করা উচিত নয়।


<> নানা মানুষের নানা মতামত এবং নানা মানুষ নানা কিছু মনে করে। তাই আমাদেরকে দেখতে হবে আল্লাহ কী বলেন? আল্লাহ যা বলেন ওটাই সঠিক। আর আল্লাহ যা নিষেধ করেন সেটাই বেঠিক। আরও দেখতে হবে যে, আল্লাহ কতোটুকু আনন্দ করাকে অনুমোদন দিয়েছেন, আল্লাহ কতোটুকু স্বাধীন থাকার অনুমোদন দিয়েছেন.... 


[][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][]


⚫ 04— অহংকার, অবহেলা, হিংসা, অপছন্দ, ঘৃণা ও আশা।


◼️ অহংকার: অহংকার হলো তোমার কাছে কিছু আছে ওটা অন্য এক জনের কাছে নেই, এ কারণে যার নেই তাকে উদ্দেশ্য করে শয়তানি অনুভূতি থেকে আঘাত দিয়ে আনন্দ পাওয়া।


◼️ অবহেলা: কারো কাছে কিছু নেই এ কারণে তাকে উদ্দেশ্য করে কথা বা মুখের ভঙ্গিমায় আঘাত দেয়া।


◼️ হিংসা: হিংসা হলো কাউকে অসহ্যকর লাগে বলে তার উন্নতির ক্ষতি চাওয়া।


> হিংসা তাকে দেখেই হবে যাকে তোমার কোনো না কোনো দিক থেক অসহ্যকর লাগে।


Example 1: ধরো, লিপা ৮ বছরের এক মেয়ে। তার মা'র এক ছোট মেয়ে হয়েছে। লিপার মা তার ছোট বোনকে অনেক সময় দেয় কিন্তু লিপাকে তেমন সময় দিতে পারে না। লিপার বাবা তার ছোট মেয়ের জন্য এক খেলনা নিয়ে এসেছে কিন্তু লিপার জন্য কোনো খেলনা নিয়ে আসেনি। লিপার তা দেখে হিংসা হলো। লিপা রেগে গিয়ে বাইরে গেলো এবং দেখলো রাবিয়ার মা রাবিয়াকে এক খেলনা কিনে দিচ্ছে এবং তা দেখে লিপার আপসোস হলো কিন্তু হিংসা হলো না।


প্রথমে লিপার হিংসা হয়েছিলো অর্থাৎ তার বাবা যখন ছোট মেয়ের জন্য খেলনা এনেছিল তখন হিংসা হয়েছিলো।


কিন্তু, লিপা যখন রাবিয়াকে দেখলো "রাবিয়ার মা রাবিয়াকে খেলনা কিনে দিচ্ছে" তখন হিংসা হয়নি, কিন্তু আপসোস হয়েছে।


তাই হিংসা তখনই হবে যখন "যাকে দেখে তোমার হিংসা হয়" তাকে কোনো না কোনো দিক থেকে অসহ্যকর লাগে।


Example 2: বাবলু ইরফানকে সহ্য করতে পারে না। ইরফান আজ ১ লাখ টাকা পেয়েছে আর তা দেখে বাবলুর হিংসা হলো।------(a)


আর, বাবলু রফিককে অনেক ভালোবাসে, রফিকও ১ লাখ টাকা পেয়েছে। আর তা দেখে বাবলুর আপসোস হলো।-------------(b)


(a)-তে বাবলুর হিংসা হয়েছে আর (b)-তে বাবলুর আপসোস হয়েছে।


তাই হিংসা তখনই হবে যখন "যাকে দেখে তোমার হিংসে হয়" তাকে কোনো না কোনো দিক থেকে অসহ্যকর লাগে।


◼️ অপছন্দ: অপছন্দ হলো পছন্দ না হওয়া৷ অপছন্দের ভেতর অসহ্য নেই।


Example: বাবলুর নীল রঙের কলমটি পছন্দ হয়নি তাই সে অন্য কলম নিলো।


◼️ ঘৃণা: ঘৃণা হলো সহ্য না করতে পারা ফলে যা সহ্য না হচ্ছে তা নষ্ট করে ফেলার ইচ্ছে হবে।


Example: বাবলুর হলুদ রঙের একটি কলম দেখে ঘৃণা হচ্ছিলো। তার মোন চাইছে হলুদ কলমটি ধ্বংস হোক।


[] অপছন্দ ও ঘৃণার ভেতর পার্থক্য হলো: অপছন্দের ভেতর "অসহ্য" নেই, কিন্তু ঘৃণার ভেতর "অসহ্য" আছে।


[] একটি পাখিকে যদি তুমি শুধু পছন্দ করো তাহলে তুমি তাকে খাঁচার ভেতর বন্দি করে রাখবে। কিন্তু সে পাখিকে যদি তুমি ভালোবাসো তাহলে তুমি তাকে খাঁচা থেকে ছেড়ে দেবে, কারণ ভালোবাসার ভেতর আবেগ থাকে।


◼️আশা: ভালোলাগার ফলে চাওয়াটা হলো আশা। 


[][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][]


⚫ 05— আল্লাহ এমনভাবে করেন যাতে অনেকে সন্দেহ করে, আবার অনেকে বিশ্বাসও করে, ফলে যারা ধৈর্যশীল, সহনশীল ও যাদের আধ্যাত্মিক ঘটনার অভিজ্ঞতা আছে তারা বিশ্বাস করে, আর যারা অসহনশীল, অধৈর্যশীল ও যারা ভালো না হওয়ার কারণে তাদের আধ্যাত্মিক কোনো ঘটনার অভিজ্ঞতা নেই তারা সন্দেহ করে। 


◾অনেকে মনে করে প্রকৃতিকে কেউ বানায়নি। 

আবার, অনেকে মনে করে আল্লাহকে কেউ বানায়নি। 


◾অনেকে কষ্টের জন্য আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্বে সন্দেহ করে।

আবার, অনেকে সুখের জন্য আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্বে বিশ্বাস করে। 


◾অনেকে মনে করে "যেহেতু মুহাম্মদ (স.) -এর সময় আরবরা কাব্য রচনায় অনেক এগিয়ে ছিলো তাই মুহাম্মদ (স.) নিজেই হয়তো কুরআন লিখেছেন।

আবার, অনেকে মনে করে "না, সে সময় আরবরা কাব্য রচনায় এগিয়ে ছিলো বলেই যে মুহাম্মদ (স.) কুরআন লিখেছেন এমন নয়"।


◾অনেকে মনে করে আল্লাহ যেহেতু স্বপ্নে নানা কিছু দেখান তাহলে ইসলাম সত্য হতে পারে না, কারণ স্বপ্নে আমরা যে সে বিষয় দেখতে পারি। আবার অনেকে মনে করে "না, স্বপ্নে আল্লাহ দেখান যাতে করে সবকিছু সবার কাছে স্পষ্ট না হয় ফলে যেনো মানুষকে পরীক্ষা করা যায়।"।

  

◾অনেকে দুর্ঘটনার জন্য আল্লাহকে অবিশ্বাস করে। 

আবার অনেকে সৌভাগ্যের জন্য আল্লাহকে বিশ্বাস করে। 


সব সময় দুটি দিক থেকেই যায়; বিশ্বাস ও সন্দেহ।

মানুষ ব্যক্তিগত জীবনের ঘটনাগুলোতেও এ দুটি দিক দেখা যায়; বিশ্বাস ও সন্দেহ। ফলে যারা ধৈর্যশীল, সহনশীল ও যাদের আধ্যাত্মিক ঘটনার অভিজ্ঞতা আছে তারা বিশ্বাস করে, আর যারা অসহনশীল, অধৈর্যশীল ও যারা ভালো না হওয়ার কারণে তাদের আধ্যাত্মিক কোনো ঘটনার অভিজ্ঞতা নেই তারা সন্দেহ করে।

.............


[][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][][]


⚫ 06— ধর্মীয় কয়েকটি কথা :


 1. কেউ যদি নামাজ পড়া বাদ দিয়ে দেয়। হারাম কাজ করা শুরু করে তখন ধীরে ধীরে তার ঈমান নষ্ট হতে থাকে। ঈমান নষ্ট হলে তখন আর ভালো কথা আর শুনতে মোন চায় না। খারাপ কথা উপভোগ্য হয়। সে ধীরে ধীরে অসহনশীল হয়ে যায়।....


 2. পাপ কাজ সঠিক হতে পারে না।


 3. ঈমান এক রকমের আবেগি অনুভূতি যার উপস্থিতিতে ধর্ম সঠিক হিসেবে অনুভব হয়। আর ঐ অনুভূতির কারণে যেগুলো করা হয় সেগুলো সঠিক কাজ।


 4. কেউ যদি তোমাকে সৃষ্টি করে তাহলে সে সৃষ্টিকর্তার কোনো রকম স্বার্থ থাকবে না এমনটা সাধারণত হতে পারে না। যদি ১ সেকেন্ড দেখার জন্যও সৃষ্টি করেন সেটাও স্বার্থ। 


 5. দুনিয়ার সুখ ও কষ্ট ক্ষণস্থায়ী। 


 6. ঈমান থাকলে ও ঈমান না থাকলে :

 

A1. ঈমান না থাকলে: আমি কি আমার বাবা মা'কে বলেছিলাম "আমাকে জন্ম দাও"? তাহলে আমি কেন তাদের দায়িত্ব নিতে যাবো।


A2. ঈমান থাকলে: আমার বাবা মা অনেক আশা নিয়ে আমাকে জন্ম দিয়েছেন। আর আমার জন্য অনেককিছু করেছেন। তাই অবশ্যই তাদের দায়িত্ব আমার নেয়া উচিত।

___________________

B1. ঈমান না থাকলে: আমি কাউকে দান করবো নাকি করবো না এটা আমার নিজের বিষয়। এতে ফরজের কী আছে?


B2. ঈমান থাকলে: আমি যেমন কষ্ট পাই, ঠিক তেমনি গরীবরাও কষ্ট পায়, তাই অবশ্যই আমার গরীবদেরকে সাহায্য করা উচিত।

___________________

C1: ঈমান না থাকলে: আমার যা মোন চাইবে তাই করবো। তাতে অন্যের কী?


C2: ঈমান থাকলে: আমার অবশ্যই পরিবার ও সমাজের মানুষের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।


.....

Comments

Popular posts from this blog

অলৌকিক ঘটনা কি কেবল নবি রসূলদের সাথেই ঘটে?

ইসলামে চুরির শাস্তি