আমি যে সকল কারণে আল্লাহকে বিশ্বাস করি

আমি যে সকল কারণে আল্লাহকে বিশ্বাস করি :

(There are more posts on Facebook: Philosophy, islam and science in Bangla)

অনেক বিষয় আছে। সব তো এখন জানানো সম্ভব নয়। তবে কিছু বিষয় না হয় বলি :

মানুষের ন্যায়নিষ্ঠতা subjective বা অনুভূতি নির্ভর। আল্লাহ তায়ালা space বানিয়েছেন, matter বানিয়েছেন, এনার্জি বানিয়েছেন। স্পেস আল্লাহ কীভাবে বানালেন তা আমরা কখনো জানতে পারবো না। এমন নয় যে ১০০ বছর পর বিজ্ঞান space কীভাবে বানানো হয়েছে তা ব্যাখ্যা করতে পারবে। ফলে বোঝা যায় যে আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে; আমরা আল্লাহর ন্যায় নিষ্ঠতা বিবেচনা করার যোগ্য নই।

> ভালো খারাপ আপেক্ষিক। 

> আল্লাহ এমনভাবে করেন যাতে করে অনেকে সন্দেহও করে আবার অনেকে বিশ্বাসও করে। 

> আল্লাহকে কিন্তু না দেখে বিশ্বাস করতে হয়। দেখে বিশ্বাস করার মূল্য নেই। ফেরেশতারা অদৃশ্য। আল্লাহ স্বপ্নে নানা কিছু দেখান... এগুলো অনেক গোপনীয়। আল্লাহ এমনভাবে করেন যাতে করে সব স্পষ্ট না হয়। 

> হয় আল্লাহকে কেউ বানায়নি, অথবা প্রকৃতিকে কেউ বানায়নি। শুরুতে কিছু একটা ছিলো যা বানানোর প্রয়োজন হয়নি। আমি প্রকৃতি ও আল্লাহর মাঝে আল্লাহকে কেউ বানায়নি এতে বিশ্বাস রাখি।...

আরও নানা বিষয় আছে...

যে-কোনো কিছুর সীমালঙ্ঘন সমস্যাজনক। যেমন ধরো নামাজ পড়া ভালো কিন্তু তুমি যদি সারাদিন শুধু নামাজই পড়ো তাহলে তা সমস্যাজনক, দিনে ৮/৯ গ্লাস পানি খাওয়া ভালো, কিন্তু ধরো তুমি সারাদিন শুধু পানিই খাচ্ছো তাহলে তা সমস্যাজনক। আল্লাহর বৈশিষ্ট নিয়ে চিন্তা করা মানুষের চিন্তার সীমালঙ্ঘন বলে মনে করি।...

আরও নানা কারণ আছে।

_______________________________________________________
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় :

[] শুধু জাকাত ও কুরবানি করলাম কিন্তু এছাড়া "কখনো" দান করলাম না এমটা প্রকৃত ইসলাম নয়।

[] কেবল পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও হালাল আনন্দ করে জীবন পার করলাম এমনটা প্রকৃত ইসলাম নয়।

[] জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রেও সীমালঙ্ঘন ক্ষতিকর। 

[] দয়ার ক্ষেত্রেও ইসলাম যতোটা অনুমোদন করে তার বেশি দয়া করা যাবে না।

[] আল্লাহ এমনভাবে করেন যাতে অনেকে সন্দেও করে, আবার অনেকে বিশ্বাসও করে ফলে যারা ভালো তাদের আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা আছে বলে তারা বিশ্বাস করে, আর যারা খারাপ তাদের আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা নেই বলে তারা অবিশ্বাস করে।

[] খাও ঘুমাও এবং কেবল আনন্দের জন্য বাঁচো এমন জীবনে যদি হালাল আনন্দও করা হয় তবুও জীবন একঘেয়েমি, যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও পড়া হয় তবুও জীবন একঘেয়েমি। জীবনে বড়ো কোনো উদ্দেশ্য থাকতে হবে এবং সে উদ্দেশ্যের জন্য পরিশ্রম করতে হবে নয়তো জীবন একঘেয়েমি এবং বেঁচে থাকতে ভালো লাগবে না।

> পরিশ্রম ছাড়া যে জীবন সে জীবনে আনন্দের যেটাই করা হোক না কেন বেশি সময়ের জন্য ভালো লাগবে না।

[] জীবনে ভালো থাকার উপায় হলো নবি রসূলদেরকে অনুসরণ করে চলা, আর এটা ভুলা যাবে না।

Comments

Popular posts from this blog

অলৌকিক ঘটনা কি কেবল নবি রসূলদের সাথেই ঘটে?

ইসলামে চুরির শাস্তি

দার্শনিক নানা বিষয় একত্রে :