কষ্ট
কষ্ট :
[] আমিই তো, সমস্যা নেই; কষ্ট সহ্য করে যাবোনি। কিন্তু অন্য কেউ কষ্টে না থাকুক।
[] যারা তোমাকে ভালোবাসে যদি কেবল তাদেরকেই ভালোবাসো তাহলে এতে প্রশংসা পাওয়ার কী আছে? মন্দরাও তো এমনই করে। তোমার শত্রুদেরকেও ভালোবেসো। ঘৃণা করলে আশীর্বাদ দিয়ো, কেউ তোমাকে দুঃখ দিলে তার মঙ্গল কামনা কোরো। কেউ তোমাকে এক গালে চড় দিলে অন্য গালও পেতে দিয়ো। যেমন ব্যবহার পেতে চাও অন্যের প্রতি তেমন ব্যবহার কোরো। — নবি ঈসা (আ.)
[] এ জীবনে যেটাই হোক না কেন একদিন তো মারা যাবোই।
[] জীবন এমনই। চলছে তো, থেমে তো নেই।
[] যতো কষ্টই আসুক না কেন আল্লাহর ইবাদত করা বাদ দেবে না :
নবী আইয়ুব (আ.)-এর কথা মনে রাখো। তিনি অনেক ধনী ছিলেন, অনেক সন্তান ছিলো, শরীরও ভালো ছিলো। হঠাৎ একের পর এক সব কিছু হারিয়ে ফেলেন—ধন-সম্পদ, সন্তান আর নিজের স্বাস্থ্যও। সারা শরীরে রোগ হয়ে যায়, সবাই তাকে ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু তিনি কখনো আল্লাহর ওপর থেকে ভরসা হারাননি। ইবাদত বন্ধ করেননি। শয়তান অনেক চেষ্টা করেছিল তাকে আল্লাহর কথা ভুলিয়ে দিতে, কিন্তু পারেনি।
নবী ইব্রাহিম (আ.)-এর কথাও মনে রাখো। তিনি অনেক বছর ধরে সন্তান চাচ্ছিলেন। অবশেষে আল্লাহ তাকে এক সন্তান দেন—ইসমাইল (আ.)। কিন্তু আল্লাহ তখন বলেন, স্ত্রী হাজেরা (আ.) আর ছোট ছেলেকে মরুভূমিতে রেখে আসতে হবে। তিনি সেটাও মানেন। পরে আবার যখন ছেলে বড়ো হয়, তখন আল্লাহ বলেন, তাকে কুরবানি করতে হবে। তিনিও আল্লাহর আদেশ মানেন।
যতো কষ্টই আসুক না কেন আল্লাহর ইবাদত করা বাদ দেয়া যাবে না এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা অনুযায়ী কাজ করা যাবে না।
[] অন্যায় করার চেয়ে অন্যায়ের শিকার হওয়া উত্তম।
.
.
.
.
Comments
Post a Comment