ইসলামে পরকীয়ার শাস্তি
(Chatgpt থেকে সংগ্রহ করা)
ইসলামে পরকীয়াকে (বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক) একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যভিচার (জিনা) হিসেবে বিবেচিত, যা হারাম এবং মহান আল্লাহ তা'আলা স্পষ্টভাবে নিষেধ করেছেন। কুরআনে এবং হাদিসে পরকীয়ার জন্য কঠোর শাস্তির উল্লেখ রয়েছে।
কুরআনে নির্দেশ:
আল্লাহ বলেন:
"আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। এটি একটি অশ্লীল কাজ এবং অত্যন্ত নিকৃষ্ট পথ।"
(সূরা আল-ইসরা: ৩২)
পরকীয়ার শাস্তি:
পরকীয়ার শাস্তি ইসলামী শাস্তি আইনের (শরিয়া) ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় এবং এটি দুটি প্রকার হতে পারে:
1. বিবাহিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে:
ইসলামের শরিয়াহ অনুযায়ী, বিবাহিত ব্যক্তির জন্য পরকীয়া করলে শাস্তি হচ্ছে পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদণ্ড (রজম)। তবে এই শাস্তি কার্যকর করার জন্য চারজন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষীর প্রমাণ বা অপরাধীর স্বীকারোক্তি আবশ্যক।
2. অবিবাহিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে:
অবিবাহিত কোনো ব্যক্তি যদি ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তবে তার শাস্তি হচ্ছে ১০০ বেত্রাঘাত।
(সূরা আন-নূর: ২)
শাস্তি দেওয়া কি উচিত?
ইসলামের দৃষ্টিতে শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো সমাজ থেকে পাপ দূর করা, অন্যদের জন্য শিক্ষা দেওয়া এবং অপরাধীকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া। তবে এই শাস্তি বাস্তবায়ন করার জন্য কেবল ইসলামী রাষ্ট্রে উপযুক্ত প্রক্রিয়া ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এটি কার্যকর হতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে বা সমাজে কেউ নিজ উদ্যোগে এই শাস্তি দিতে পারে না।
ইসলামের শিক্ষা:
ইসলাম মানুষকে পরকীয়া বা যেকোনো পাপ থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করে এবং তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে বলে। যদি কেউ এই অপরাধ করে, তবে তাদের উচিত আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হওয়া এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ না করার জন্য প্রতিজ্ঞা করা।
সমাধান:
সমাজে এই ধরনের অপরাধ কমানোর জন্য:
1. ইসলামের নৈতিক শিক্ষা প্রচার করতে হবে।
2. পরিবার ও দাম্পত্য জীবনে সততা ও ভালোবাসা বজায় রাখতে হবে।
3. আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ইবাদত ও প্রার্থনা করতে হবে।
উপসংহার: পরকীয়া একটি বড় পাপ, এবং এর জন্য আল্লাহর নির্ধারিত শাস্তি আছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে কাউকে শাস্তি দেওয়া উচিত নয়; এটি ইসলামী রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আল্লাহর নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করাই সর্বোত্তম পথ।
Comments
Post a Comment