বিশ্বাস ও যুক্তির ভারসাম্য

বিশ্বাস ও যুক্তির ভারসাম্য:   — আহসানুল ইরফান

[] কিছু বিষয় আমরা বিশ্বাসের ওপর ছেড়ে দেবো, আর কিছু বিষয় নিয়ে আমরা খোলামেলা আলোচনা করবো। একজন নাস্তিকও নাস্তিক্যবাদের প্রতিটি দিক নিয়ে শতোভাগ নিশ্চিত নয়, একজন খ্রিস্টানও খ্রিস্ট ধর্মের প্রতিটি দিক নিয়ে শতোভাগ নিশ্চিত নয়... আলোচনা করার কাঠামো হবে— ইসলাম বনাম নাস্তিক্যবাদ, ইসলাম বনাম খ্রিস্ট ধর্ম... আমরা এ মতোবাদ ও ধর্মগুলোর যৌক্তিকতা এবং ইহকালীন ও পরকালীন জীবনে এগুলোর ফলাফল, উভয়কে গুরুত্ব দিয়ে অন্যান্য মতোবাদ ও ধর্মের সাথে ইসলামকে তুলনা করে আলোচনা করবো, যৌক্তিক হলেই সেটার ফল ভালো নাও হতে পারে আবার ফল ভালো হলেই সেটা সঠিক নাও হতে পারে৷ তাই আমরা যৌক্তিকতা ও ফলাফল উভয়কেই গুরুত্ব দেবো এবং কিছু বিষয় বিশ্বাসের ওপরও ছেড়ে দেবো। সবদিক থেকেই তুলনা করা হবে। 

> কিছু বিষয় বিশ্বাসের ওপর ছেড়ে দেবো, এর ভেতর কি এটাও অন্তর্ভুক্ত যে অনন্তকাল নরক অথবা অন্তত ১০০ বছরের নরক ন্যায়সঙ্গত? = হ্যাঁ, কারণ সাধারণ বিষয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বাসের ওপর ছেড়ে দেয়ার কিছু নেই, জটিল বিষয়ের ক্ষেত্রেই আমরা বিশ্বাসের ওপর ছেড়ে দিতে পারি। আর মানুষের বোঝার সীমাবদ্ধতাও আছে। যেমন— মানুষ জানে না যে কীভাবে স্পেস (স্থান) তৈরি হলো।

<?> অনেক তো ধর্ম আছে, বুঝবো কীভাবে কোনটি সঠিক? = তুলনা করবো।

<?> অনেক তো ধর্ম ও মতোবাদ আছে, কতোগুলোর সাথে তুলনা করবেন?

= যে কয়টি ধর্ম ও মতোবাদের সাথে তুলনা করা যথেষ্ট। অনেকে অল্পতেই ঈমান আনে, আবার অনেকে বেশি জেনেও ঈমান আনে না।

<?> জানার তো শেষ নেই, তাহলে কি তারা ঈমান আনতে পারে? 

= অনেকে অল্পতেই ঈমান আনে, আর অনেকে বেশি জেনেও ঈমান আনে না।

<?> মতোভেদ তো লেগেই আছে তাহলে আলোচনা কতোটুকু উপকারী? 

= মতোভেদ থাকা স্বাভাবিক, তবে একটি যৌক্তিক সীমারেখার মধ্যে সবাইকে এক থাকার চেষ্টা করতে হবে। বিচার-বিশ্লেষণ না করলে কম্পিউটার আবিষ্কার হতো না, মোবাইল আবিষ্কার হতো না, তাই বিচার-বিশ্লেষণ প্রয়োজন।


কঠোরতা, ক্ষমা করা, বিচার-বিশ্লেষণ করা, কিছু বিষয় বিশ্বাসের ওপর ছেড়ে দেয়া—এসবকিছুই প্রয়োজন, আর এগুলোর মধ্যে ভারসাম্যতা ঠিক রাখতে হয়, আর আমি বিশ্বাস করি— ইসলাম এই ভারসাম্য সবচেয়ে সুন্দরভাবে রক্ষা করে।

Comments

Popular posts from this blog

অলৌকিক ঘটনা কি কেবল নবি রসূলদের সাথেই ঘটে?

ইসলামে চুরির শাস্তি

দার্শনিক নানা বিষয় একত্রে :