ইসলাম প্রচারক হতে হলে পাঞ্জাবি পরতে হবে, নাকি পাঞ্জাবি না পরলেও ইসলাম প্রচারক হওয়া যেতে পারে?
আমরা যদি চিন্তা করি, যদি আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এই উপমহাদেশে জন্মাতেন, বিশেষ করে বাংলাদেশে, তাহলে তিনি কি আমাদের সংস্কৃতির প্রচলিত পোশাক—যেমন শার্ট বা লুঙ্গি পরতেন না? হতে পারে, পরতেন।
মূল বিষয় হলো, ইসলাম প্রচারে একজনের পোশাক ঠিক কতোটুকু গুরুত্ব রাখে? বিশেষ কোনো পোশাক, যেমন পাঞ্জাবি, তা কি দাওয়াত বা ইলম প্রচারের জন্য অপরিহার্য? নাকি একজন মানুষ তাঁর চরিত্র, জ্ঞান ও আচরণের মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্য তুলে ধরতে পারেন, পোশাকের ধরণ যাই হোক না কেন?
অবশ্যই, পোশাক ইসলামে গুরুত্ববহ, বিশেষ করে টুপি বা মাথা ঢাকার বিষয়ে অনেক আলেম গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তবে, একই গুরুত্ব কি পাঞ্জাবির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য? নাকি এটি একটি সংস্কৃতি বা অভ্যাসের অংশ মাত্র?
আমাদের বোঝা উচিত, প্রিয় নবী (সা.)-এর পোশাক ছিলো সে যুগের আরব সংস্কৃতির অনুসারে। তাই যদি তিনি আজকের বাংলাদেশে জন্মাতেন, তাহলে হয়তো এখানকার পরিবেশ, সংস্কৃতি ও সমাজ বাস্তবতা অনুযায়ীই পোশাক পরিধান করতেন—তবে অবশ্যই লজ্জাস্থান আবৃত, পরিচ্ছন্ন ও শালীনতার সাথে।
অতএব, আমাদের মূল মনোযোগ হওয়া উচিত ইসলামি মূল্যবোধ, সদাচরণ, ইখলাস এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করার ওপর। পোশাককে কেন্দ্র করে "বাড়াবাড়ি" না করে, বরং ইসলামের মূল উদ্দেশ্য—হেদায়াত ও নৈতিক উৎকর্ষ—এই দিকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত।
Comments
Post a Comment