ইসলামে শুধু অপমান বা গালির কারণে কাউকে মারধর করা বৈধ নয়, তবে জালিমের বিরুদ্ধে বদদোয়া বৈধ তবে উত্তম নয়, খারাপ শব্দ ব্যবহার না করে অপমানের জবাব অপমান দিয়ে করা বৈধ তবে উত্তম নয়:
ইসলামে শুধু অপমান বা গালির কারণে কাউকে মারধর করা বৈধ নয়, তবে জালিমের বিরুদ্ধে বদদোয়া বৈধ তবে উত্তম নয়, খারাপ শব্দ ব্যবহার না করে অপমানের জবাব অপমান দিয়ে করা বৈধ তবে উত্তম নয়, প্রতিশোধের দোয়া করা বৈধ কিন্তু উত্তম নয়:
কেউ যতোবারই আপনাকে গালি বা অপমান করুক না কেন, কেবল মুখের কথার জবাবে মারধর করা ইসলাম অনুযায়ী বৈধ নয়। এভাবে হাত তোললে আপনি নিজেও গোনাহে লিপ্ত হবেন।
কুরআনে আল্লাহ বলেন, "আর ভালো কাজ ও মন্দ কাজ সমান নয়। তুমি মন্দকে সেই উত্তম পদ্ধতিতে প্রতিহত করো—তাহলে দেখবে যার সাথে তোমার শত্রুতা আছে সে যেনো অন্তরঙ্গ বন্ধু হয়ে যাবে।" — (সূরা ফুসসিলাত ৪১:৩৪)
[] রাসূল ﷺ–এর সহনশীলতার শিক্ষা:
রাসূলুল্লাহ ﷺ–কে মক্কার কাফিররা বহুবার গালি দিয়েছে, অপমান করেছে, এমনকি আবর্জনা ফেলে দিয়েছে। কিন্তু তিনি কখনো প্রতিশোধ নেননি। তিনি ধৈর্য ধারণ করেছেন এবং সাহাবিদেরও ধৈর্যের দিকে উৎসাহিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, "মুমিনদের মধ্যে সে-ই উত্তম, যে মানুষের সাথে মিশে এবং তাদের কষ্ট সহ্য করে।"
— (সুনান আত-তিরমিজি, হাদিস২৫০৭; সহিহ)
[] নবি ﷺ সাধারণত অভিশাপ দিতেন না:
সাহাবারা বলেন, "রাসূলুল্লাহ ﷺ কখনো অশ্লীল কথা বলতেন না, অভিশাপ দিতেন না, গালি দিতেন না।"
— (সহিহ আল-বুখারি, হাদিস ৬০৩১)
> একবার সাহাবিরা অনুরোধ করেছিলেন,
"হে আল্লাহর রাসূল, মুশরিকদের বিরুদ্ধে বদদোয়া করুন।"
তিনি উত্তরে বললেন, "আমি লানত দেয়ার জন্য প্রেরিত হইনি; বরং রহমত হয়ে প্রেরিত হয়েছি।"
— (সহিহ মুসলিম, হাদিস ২৫৯৯)
[] তবে জালিমের বিরুদ্ধে বদদোয়া বৈধ:
ব্যক্তিগতভাবে কারো নাম ধরে ধরে লানত করা রাসূল ﷺ করতেন না। তবে সাধারণভাবে জালিমদের বিরুদ্ধে বদদোয়া বৈধ। তিনি সাধারণভাবে দোয়া করতেন, "হে আল্লাহ, জালিমদের ধ্বংস করো।"
[] খারাপ শব্দ ব্যবহার না করে অপমানের জবাব অপমান দিয়ে করা বৈধ তবে উত্তম নয়:
আল্লাহ বলেন, "আর যদি শাস্তি দিতে চাও, তবে যতোটুকু কষ্ট সে দিয়েছে ততোটুকুই দাও; আর যদি ধৈর্য ধর, তবে নিশ্চয়ই ধৈর্যশীলদের জন্য তা উত্তম।"
— (সূরা নাহল ১৬:১২৬)
তবে, খারাপ শব্দ ব্যবহার করা জায়েজ নয়:
"মুমিন গালি দেয় না, অভিশাপ দেয় না, অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে না।" (হাদিসটির মূল সূত্র হলো তিরমিযি, আর Riyād aṣ-Ṣāliḥīn বইটিতে এটি আছে Book 17, Hadith 224 হিসেবে।)
> ইসলামে বড়োদেরকে "তুই–তুকারি" করে কথা বলা জায়েজ নয়, যদিও সে অপরাধী হয়ে থাকে।
[] "অত্যাচারিত ব্যক্তি যদি প্রতিশোধের জন্য দো'আ করে, তবে তার কোনো দোষ নেই।"
(সূরা আশ-শূরা ৪২:৪১)
কিন্তু তার পরেও ইসলাম ক্ষমা ও ধৈর্যের প্রতি বেশি উৎসাহ দেয়। কারণ: আল্লাহ বলেন, "আর যদি তোমরা ক্ষমা করো, তা-ই হবে সবচেয়ে উত্তম।" (সূরা আশ-শূরা ৪২:৪৩)
Comments
Post a Comment