গণতন্ত্র কি হালাল নাকি হারাম?
গণতন্ত্র কি হালাল নাকি হারাম?
(এটা আমার মতামত; আমি সম্পূর্ণভাবে সঠিক নাও হতে পারি — আহসানুল ইরফান)
A: গণতন্ত্রকে যদি কোনো দল আদর্শ হিসেবে গ্রহণ না করে, কেবল একটি পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণ করে—এ নিয়তে যে তারা এর মাধ্যমে শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা করবে—তাহলে কি এ ক্ষেত্রে গণতন্ত্র হালাল?
B: এতে কি তারা সফল হতে পারবে?
A: সফল হোক বা না হোক, যদি নিয়ত থাকে শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা করা, তাহলে কি হালাল হবে? মদ প্রথম ধাপেই নিষিদ্ধ হয়নি, ৩য় ধাপে গিয়ে নিষিদ্ধ হয়েছে।
B: এ ক্ষেত্রে তাদের পাপ হবে না, কিন্তু এটা একটি দুর্বল চেষ্টা। আপনি কুমিরের নদীতে ঝাঁপ দিয়ে কুমিরকে হারাবেন? এতে আপনার উপকারের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক বেশি।
A: যদি তারা জানে যে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি, তবুও যদি এ কাজ করে, তাহলে কি তাদের পাপ হবে?
B: এক্ষেত্রে পাপ হতেও পারে, আবার নাও হতে পারে। সে যদি মনে করে, "আমার জেতার সম্ভাবনা আছে" তাহলে তার পাপ নাও হতে পারে।
A: জনগণ তো সবাই গবেষক নয়, তারা তো জানে না গণতন্ত্র হালাল নাকি হারাম। তারা যদি কোনো ইসলামপন্থী দলকে ভোট দেয়, তাহলে কি তাদের পাপ হবে?
B: কোনো ব্যক্তি যদি জানে, কোনো কাজের দ্বারা ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি, কিন্তু তবুও সে ঐ কাজকে সমর্থন করে—এ নিয়তে যে সে জিততে পারে—তাহলে তার পাপ নাও হতে পারে। কিন্তু কোনো ব্যক্তি যদি না জানে, ঐ কাজের দ্বারা ক্ষতি হবে কি না, তবুও সমর্থন করে, তাহলে তার পাপ হবে না।
এক কথায়: কোনো ইসলামপন্থী দল যদি গণতন্ত্রকে একটি আদর্শ হিসেবে গ্রহণ না করে, বরং একটি পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণ করে—এ নিয়তে যে তারা এর মাধ্যমে শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা করবে—তাহলে তাদের পাপ হবে না, কিন্তু তাদের ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। এ ক্ষতির কথা মাথায় রেখেও যদি তারা চেষ্টা চালায়, তাহলে তাদের পাপ নাও হতে পারে। আর জনগণ যদি জানে এতে ক্ষতি হতে পারে, তবুও ভোট দেয়, তাহলে তাদের পাপ হতেও পারে। কিন্তু না জেনে ভোট দিলে পাপ হবে না।
[] কোনো পদ্ধতিকে হারাম অথবা হালাম বলা হয় তার ফলাফলের ওপর নির্ভর করে। যদি কোনো পদ্ধতির ফলে উপকার বেশি হয় সবদিক বিবেচনা করে তাহলে সে পদ্ধতিকে হালাল পদ্ধতি বলে। আর যদি কোনো পদ্ধতির ফলে ক্ষতি বেশি হয় সব দিক বিবেচনা করে তাহলে সে পদ্ধতিকে হারাম পদ্ধতি বলে।
Comments
Post a Comment