Posts

Showing posts from December, 2024

ইসলামের নানা বিষয় নিয়ে মতোভেদ আছে বলে ইসলামি শাসন চাইবো না এটা হতে পারে না।...

ইসলামের নানা বিষয় নিয়ে মতোভেদ আছে বলে ইসলামি শাসন চাইবো না এটা হতে পারে না। মতোভেদ তো বিজ্ঞানেও আছে, গণিতশাস্ত্রেও আছে... এখন কি বিজ্ঞানচর্চা বাদ দেবো?, গণিতচর্চা বাদ দেবো?

কোন মজা করা উচিত আর কোন মজা করা উচিত নয়।

>> মজা আসলে সেগুলো নিয়েই করা যায় যা কোনো না কোনো দিক থেকে নিম্ন ধর্মী। যেমন: কেউ মোটা, কেউ ফেল করেছে...। ভালো জিনিস নিয়ে আসলে মজা করা যায় না। তবে সবকিছু নিয়ে মজা করা যাবে না এবং পরিস্থিতি বুঝেও অনেক সময় মজা করা যাবে না। [] ধরুন আমি কাউকে নিয়ে মজা করলাম, যাকে নিয়ে মজা করলাম সেও হাসলো। তাহলে এমন মজা করা ঠিক আছে। [] কিন্তু ধরুন আমি কাউকে নিয়ে এমন মজা করলাম যার ফলে যাকে নিয়ে মজা করলাম সে কষ্ট পেলো। তাহলে এমন মজা করা যাবে না। (|) যাকে নিয়ে মজা করা হচ্ছে তার মোন খারাপ না করে বোঝা উচিত এটা কেবল মজা, এতে মোন খারাপ করার কিছু নেই। অর্থাৎ তার মেনে নেয়া উচিত। ❌ না, মেনে নেয়ার কথা বললে ধর্ম নিয়ে মজা করার বিষয়ও মেনে নেয়া যেতে পারে, মেনে নেয়ার কথা বললে কেউ এক্সিডেন্ট করেছে এটা নিয়ে মজা করাও মেনে নেয়া যেতে পারে... টুক টাক মজা করা ঠিক আছে, কিন্তু যদি দেখা যায় অপরজন কষ্ট পাচ্ছে তখন মজা করা থামানো উচিত, আর টুকটাক মজা করলে অপরজনেরও বুঝা উচিত যে তারা মজা করে বলছে; ছিরিয়াছলি বলছে না।

কারো নাম ও চেহারা নিয়ে ব্যঙ্গ করা কি সঠিক?

ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলা হোক। কিন্তু তাদের পতাকাকে অবমাননা করবেন না। আপনি নরেন্দ্র মদীর বিরুদ্ধে কথা বললে বলতে পারেন, কিন্তু সে চা ওয়ালা ছিলো নাকি বিস্কিট ওয়ালা ছিলো সেটা ভিন্ন। ভারতের মানুষদের ক্ষেত্রেও ঠিক একই কথা বলতে চাই। আপনি যদি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সমর্থক হয়ে থাকেন যৌক্তিক কোনো সঠিক কারণে তাহলে আপনি তাকে সমর্থন করে অনেককিছু বলতেই পারেন; কিন্তু বাংলাদেশের পতাকা অবমাননা করবেন না, কারণ বাংলাদেশের পতাকা অবমাননা করাটা বাংলাদেশের সকল মানুষকে আঘাত দেয়ার মতো; বাংলাদেশের সবাই তো আর খারাপ নয়, আবার ভারতেরও সকল মানুষ তো খারাপ নয়। [] কারো চেহারা কেমন না কেমন এটা নিয়ে ব্যঙ্গ করা উচিত নয়। কিন্তু কোনো অন্যায়কারীর চেহারার ছবিকে যদি অত্যাচারীর মতো, অথবা ডাইনির মতো রূপ দেয়া হয় তাহলে তা করা বেঠিক হবে না। তবে সাধারণতভাবে সে দেখতে কেমন না কেমন তা নিয়ে ব্যঙ্গ করা উচিত হবে না। [] কোনো অত্যাচারীর আসল নান কেমন না কেমন সেটা নিয়ে ব্যঙ্গ করা ঠিক হবে না। কিন্তু কোনো অত্যাচারীকে "খুনি", "ডাইনি", "নর পিশাচ" এগুলো বলা যেতে পারে।

হারাম ও হালাল আনন্দ :

হারাম ও হালাল আনন্দ : ১. নোংরা অথবা শয়তানি অথবা পচা অথবা বিকৃত কাজ, কথা, ভঙ্গিমা, শব্দ, জিনিস নিয়ে মজা করা ❌ উদাহরণ: মদ, সিগারেট, নোংরা শব্দ... ২. হারাম কাজ নিয়ে মজা করা ❌ উদাহরণ: নাচ, বাদ্য, প্রেম... (ছোটো মেয়ে গোল হয়ে ঘুরা, ছোটো মেয়ে এ দিক সেদিক হয়ে নড়াচড়া করা এমন নাচ ইসলামে হারাম নয়।) ৩. অন্যায় কাজ নিয়ে মজা করা ❌ উদাহরণ: খুন, চুরি, ডাকাতি... ৪. অনুচিত কাজ নিয়ে মজা করা ❌ উদাহরণ: দেখে লেখা, নকল করা, অপচয়... ৫. কষ্ট, কষ্টের বিষয়, কারো দুর্বলতা, ব্যর্থতা নিয়ে মজা করা,, অত্যাচার বা জ্বালাতন করে মজা করা ❌ উদাহরণ: কেউ মারা গেছে, কারো ক্ষতি হয়েছে, কেউ ব্যথা পেয়েছে... ৬. Cool, yo yo, damn, spiderman, batman, হেয়ালি-হেয়ালি ভাব... এগুলো করা ❌ (মজা করে টুক টাক করা যেতে পারে।) ৭. কালো শক্তি, জাদু ভঙ্গিমার কাজ করা। উদাহরণ: অনেকগুলো মোমবাতি জ্বালিয়ে তার ভেতর শুয়ে থাকা এমন ভঙ্গিমাতে যেনো সে কোনো কালো শক্তির অধিকারী, vampire সাজা... ❌ বিঃদ্রঃ ৭-এ "কাজ" লেখা হয়েছে, "দুষ্টুমি" নয়। কেউ "দুষ্টুমি" করে ভূত-পেত্নী সাজতে পারে। ৮. স্বেচ্ছায় অসংলগ্ন উদ্ভট ও আজব কাজ করা বা পাগলাম...

কষ্ট

কষ্ট : [] আমিই তো, সমস্যা নেই; কষ্ট সহ্য করে যাবোনি। কিন্তু অন্য কেউ কষ্টে না থাকুক। [] যারা তোমাকে ভালোবাসে যদি কেবল তাদেরকেই ভালোবাসো তাহলে এতে প্রশংসা পাওয়ার কী আছে? মন্দরাও তো এমনই করে। তোমার শত্রুদেরকেও ভালোবেসো। ঘৃণা করলে আশীর্বাদ দিয়ো, কেউ তোমাকে দুঃখ দিলে তার মঙ্গল কামনা কোরো। কেউ তোমাকে এক গালে চড় দিলে অন্য গালও পেতে দিয়ো। যেমন ব্যবহার পেতে চাও অন্যের প্রতি তেমন ব্যবহার কোরো। — নবি ঈসা (আ.) [] এ জীবনে যেটাই হোক না কেন একদিন তো মারা যাবোই। [] জীবন এমনই। চলছে তো, থেমে তো নেই। [] যতো কষ্টই আসুক না কেন আল্লাহর ইবাদত করা বাদ দেবে না : নবী আইয়ুব (আ.)-এর কথা মনে রাখো। তিনি অনেক ধনী ছিলেন, অনেক সন্তান ছিলো, শরীরও ভালো ছিলো। হঠাৎ একের পর এক সব কিছু হারিয়ে ফেলেন—ধন-সম্পদ, সন্তান আর নিজের স্বাস্থ্যও। সারা শরীরে রোগ হয়ে যায়, সবাই তাকে ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু তিনি কখনো আল্লাহর ওপর থেকে ভরসা হারাননি। ইবাদত বন্ধ করেননি। শয়তান অনেক চেষ্টা করেছিল তাকে আল্লাহর কথা ভুলিয়ে দিতে, কিন্তু পারেনি। নবী ইব্রাহিম (আ.)-এর কথাও মনে রাখো। তিনি অনেক বছর ধরে সন্তান চাচ্ছিলেন। অবশেষে আল্লাহ তাকে এক সন্তান দেন—ইস...

একজন অমুসলিমকে ইসলামে আনতে যে কয়টি বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে :

একজন অমুসলিমকে ইসলামে আনতে যে কয়টি বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে :  1. আল্লাহর অস্তিত্ব দিয়ে আলোচনা।  2. অমুসলিমদের অনেকে মুহাম্মদ (স.)-কে খারাপ মানুষ মনে করে। তাই তাদেরকে মুহাম্মদ (স.)-এর জীবনি জানানো।   3. আল্লাহ এমনভাবে করেন যাতে করে অনেকে সন্দেহও করে, আবার অনেকে বিশ্বাসও করে; আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করেন এ বিষয় জানানো।  4. আল্লাহর অবাধ্য হওয়া, বাবা-মা'র অবাধ্য হওয়া সঠিক নয়।  5. কষ্ট ও নানা বিভ্রান্তি থাকলেও ইসলাম পালন করা প্রয়োজনীয়।  6. ইসলামের নানা প্রশ্নের উত্তর।