Posts

Showing posts from January, 2025

ইসলামে কি বিলাসিতা হারাম?

ইসলামে কি বিলাসিতা হারাম?  [From ChatGPT] : ইসলামে বিলাসিতা পুরোপুরি হারাম নয়, তবে এটি নির্দিষ্ট শর্ত ও প্রেক্ষাপটে নির্ভরশীল। ইসলাম জীবনযাপনে সরলতা ও মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে উৎসাহিত করে এবং অপব্যয়, অহংকার বা সম্পদের অপ্রয়োজনীয় প্রদর্শনীকে নিরুৎসাহিত করে। বিলাসিতা সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি: 1. অপচয় হারাম: কুরআনে আল্লাহ বলেছেন: "তোমরা অপচয় করো না। নিশ্চয়ই অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই।" (সূরা ইসরা: ২৭) অর্থাৎ, প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যয় করা ইসলাম সমর্থন করে না। 2. অহংকার বর্জন: বিলাসিতার মাধ্যমে যদি অহংকার বা আত্মপ্রদর্শন করা হয়, তবে তা ইসলামically নিন্দনীয়। আল্লাহ বলেন: "তোমরা পৃথিবীতে অহংকার করে চলো না।" (সূরা লোকমান: ১৮) 3. হালাল উপার্জন ও ব্যয়: ইসলাম হালাল উপার্জন থেকে স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনযাপন এবং প্রয়োজন মেটানোর অনুমতি দিয়েছে। তবে তা এমন হতে হবে যা সীমালঙ্ঘন করে না বা অন্যদের ক্ষতি করে না। 4. সামাজিক দায়িত্ব: বিলাসিতার মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র বা অভাবী মানুষদের প্রতি দায়িত্ব ভুলে যাওয়া সমর্থনযোগ্য নয়। কুরআনে বারবার সম্পদ দানের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে (যাকাত, সদকা ইত্যাদি)...

আমি যে সকল মূল কারণে ইসলামে বিশ্বাস করি :

আমি যে সকল মূল কারণে ইসলামে বিশ্বাস করি : ◼️ আমি মনে করি আল্লাহ তার নানা কাজ এমনভাবে করেন যাতে করে অনেকে বিশ্বাসও করে আবার অনেকে সন্দেহও করে। যেমন:  [] অনেকে কষ্টের জন্য আল্লাহ তায়ালায় বিশ্বাস করে নাহ।  আবার, অনেকে সুখের জন্য আল্লাহ তায়ালায় বিশ্বাস করে। [] অনেকে বিশৃঙ্খলার জন্য আল্লাহ তায়ালায় বিশ্বাস করে না। অনেকে সৌন্দর্যের জন্য আল্লাহ তায়ালায় বিশ্বাস করে। [] অনেকে নানা মিলগুলোর জন্য যেমন, আমাদের দু হাতে পাচটি করে আঙুল, আমাদের দুটি চোখ, গাছপালা নদি নালা...এমন নানা মিলগুলোর জন্য আল্লাহ তায়ালায় বিশ্বাস করে।  আবার, অনেক অমিলগুলোর জন্য আল্লাহ তায়ালায় বিশ্বাস করে না, যেমন: বিকৃত নানা জিনিস, দুর্ঘটনা, নোংরা নানা জিনিস... > এভাবে সব সময় দুটি দিক থেকেই যায়।  >> হয় আল্লাহকে কেউ বানায়নি অথবা প্রকৃতিকে কেউ বানায়নি। আর আমি মনে করি আল্লাহকে কেউ বানায়নি এমনটা সত্য হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ◼️ Space বা স্থান কীভাবে সৃষ্টি হলো তা আমরা ব্যাখ্যা করতে পারি না। ফলে বোঝা যায় আমাদের বোঝার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর আমরা আল্লাহ তায়ালার ন্যায়নিষ্ঠতা বুঝতে সক্ষম নই, কারণ আমাদের বোঝার সীমাবদ্ধ...

আল্লাহ একজন মানুষের আশেপাশে যা আছে তার দ্বারা অনেক সময় সে ব্যক্তিকে অনেক কিছু বোঝান। যেমন...

আল্লাহ একজন মানুষের আশেপাশে যা আছে তার দ্বারা অনেক সময় সে ব্যক্তিকে অনেক কিছু বোঝান। যেমন ধরুন আপনি প্রায়ই বাগানে ঘুরে বেড়ান, আর আল্লাহ আপনাকে স্বপ্নে গাছপালার দ্বারা কিছু বোঝালেন। অথবা ধরুন আপনি অনেক বন্ধুদের সাথে দেখা করেন আল্লাহ আপনাকে স্বপ্নে আপনার বন্ধুদের দ্বারাই কিছু বোঝালেন। আমার নিজের জীবনেই আমি এমনটা ঘটতে দেখেছি। আর কেবল আমার ক্ষেত্রে নয়, নবি রসূলদের ক্ষেত্রেও এমনটা হয় বলে মনে করি। যেমন : ◼️ নবি ইব্রাহিম (আ.) আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতেন আর জানতে চাইতেন তার পালনকর্তা কে, এবং বাইবেলে অনেক জায়গায় আল্লাহ ইব্রাহীম (আ.)-কে আকাশের তারার দৃষ্টান্ত দিয়ে অনেক কিছু বলেছেন। >> (কুরআন ৬:৭৬-৭৯): যখন রাত তাকে ঢেকে দিল, তখন তিনি একটি তারা দেখতে পেলেন এবং বললেন, "এটাই কি আমার প্রতিপালক?" পরে যখন তা অদৃশ্য হয়ে গেলো, তিনি বললেন, "আমি ডুবে যাওয়া জিনিসগুলোকে ভালোবাসি না।" এরপর যখন চাঁদ উদিত হতে দেখলেন, তিনি বললেন, "এটাই কি আমার প্রতিপালক?" কিন্তু যখন সেটাও অদৃশ্য হয়ে গেল, তখন তিনি বললেন, "যদি আমার প্রতিপালক আমাকে পথ প্রদর্শন না করেন, তাহলে আমি অবশ্যই পথভ্...

আল্লাহ সম্পর্কে

আল্লাহ সম্পর্কে : 1. আল্লাহ মানুষের উপকার করতে একই ধরনের মানুষকে এক জায়গায় জড়ো করেন। 2. আল্লাহ সাধারণত কাউকে বলে বলে শিখিয়ে দেন না, তিনি কষ্টের ভেতর দিয়ে নিয়ে গিয়ে গিয়ে অনুভব করান কোনটি সঠিক আর কোনটি বেঠিক। 3. আল্লাহ চাইলেই একজনকে বড়োকিছু বানাতে পারেন, আবার চাইলেই তাকে ছোটো বানাতে পারেন, কারণ প্রত্যেক মানুষেরই কিছু ভালো গুণ ও কিছু দুর্বল দিক থাকে। অনেকে অহংকার করে বলে সে তার দুর্বল দিকের দ্বারা পিছিয়ে পড়ে, আর কেউ বিনয়ী বলে সে তার ভালো গুণের দ্বারা বড়োকিছু হতে পারে; আর এমনটা আল্লাহই ঘটান। 4. অনেকে যিনা করতে পছন্দ করে কিন্তু আল্লাহ ইসলামে চারটি পর্যন্ত বিয়ে করার সুযোগ দিয়েছেন, কেউ গান শুনতে পছন্দ করে কিন্তু আল্লাহ তাঁর নিজস্ব বাণী (কুরআন) পাঠিয়েছেন সুন্দর কণ্ঠে পাঠ করতে, কেউ মদ পান করতে পছন্দ করে কিন্তু আল্লাহ তার জন্য দিয়েছেন অতি মিষ্টি মধু। 5. কুরআন ও বিভিন্ন তাফসির গ্রন্থে বর্ণিত আছে যে, ফেরাউনের রাজসভায় বহু দক্ষ যাদুকর ছিলো, যারা তাদের জাদুকৌশল দিয়ে মানুষকে বিমোহিত করতো। সেই যুগে আল্লাহ তাআলা মূসা (আ.)-কে এমন অলৌকিক শক্তি দান করেছিলেন, যার মধ্যে অন্যতম ছিলো তাঁর লাঠিকে সাপে রূপান্তর ...

ইসলামে পরকীয়ার শাস্তি

(Chatgpt থেকে সংগ্রহ করা) ইসলামে পরকীয়াকে (বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক) একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যভিচার (জিনা) হিসেবে বিবেচিত, যা হারাম এবং মহান আল্লাহ তা'আলা স্পষ্টভাবে নিষেধ করেছেন। কুরআনে এবং হাদিসে পরকীয়ার জন্য কঠোর শাস্তির উল্লেখ রয়েছে। কুরআনে নির্দেশ: আল্লাহ বলেন: "আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। এটি একটি অশ্লীল কাজ এবং অত্যন্ত নিকৃষ্ট পথ।" (সূরা আল-ইসরা: ৩২) পরকীয়ার শাস্তি: পরকীয়ার শাস্তি ইসলামী শাস্তি আইনের (শরিয়া) ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় এবং এটি দুটি প্রকার হতে পারে: 1. বিবাহিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে: ইসলামের শরিয়াহ অনুযায়ী, বিবাহিত ব্যক্তির জন্য পরকীয়া করলে শাস্তি হচ্ছে পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদণ্ড (রজম)। তবে এই শাস্তি কার্যকর করার জন্য চারজন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষীর প্রমাণ বা অপরাধীর স্বীকারোক্তি আবশ্যক। 2. অবিবাহিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে: অবিবাহিত কোনো ব্যক্তি যদি ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তবে তার শাস্তি হচ্ছে ১০০ বেত্রাঘাত। (সূরা আন-নূর: ২) শাস্তি দেওয়া কি উচিত? ইসলামের দৃষ্টিতে শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো সমাজ থেকে পাপ দূর করা, অন্যদের জন্য শিক্ষা দেওয়া এবং অ...

জ্বীনরা কি ফেরেশতাদের দেখতে পারে?

<?> জ্বীনরা কি ফেরেশতাদের দেখতে পারে? (From Chatgpt) ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে জ্বীন এবং ফেরেশতা উভয়ই আল্লাহর সৃষ্টি, তবে তাদের প্রকৃতি ভিন্ন। জ্বীনদের সৃষ্টি করা হয়েছে আগুন থেকে এবং তারা মানুষের মতো স্বাধীন ইচ্ছার অধিকারী। অন্যদিকে, ফেরেশতারা আলো থেকে সৃষ্টি এবং তারা সর্বদা আল্লাহর আদেশ পালন করে। কুরআন এবং হাদিসে এমন কোনো সরাসরি উল্লেখ নেই যেখানে বলা হয়েছে যে জ্বীনরা ফেরেশতাদের দেখতে পারে। তবে, ইসলামের অনেক স্কলারদের মতে, যেহেতু জ্বীন অদৃশ্য জগতে বাস করে এবং তাদের বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে, তারা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফেরেশতাদের দেখতে পারে। তবে এটি আল্লাহর ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। ফেরেশতারা সাধারণত মানুষের সামনে দৃশ্যমান হন না, তবে আল্লাহর ইচ্ছায় তারা কখনো কখনো মানুষের আকারে প্রকাশিত হতে পারেন। তাই জ্বীনদের ফেরেশতাদের দেখার ক্ষমতা সম্পর্কে চূড়ান্ত জ্ঞান একমাত্র আল্লাহর কাছে রয়েছে। সংক্ষেপে: জ্বীনরা ফেরেশতাদের দেখতে পারে কিনা, তা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। এটি আল্লাহর ইচ্ছা ও অনুমতির ওপর নির্ভরশীল। 

পাঠ্যবইয়ে রবীন্দ্রনাথের লেখা এবং আমাদের জাতীয় সংগীত

বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়ে বাংলাদেশের লেখক ও কবিদের লেখা বেশি থাকা প্রয়োজন। তবে রবীন্দ্রনাথ অনেক বড়ো একজন কবি, তার ভালো যে লেখাগুলো (যেগুলো হারাম নয়) সেগুলোর কিছু বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়ে থাকতেই পারে; আমার এতে কোনো হিংসে নেই। রবীন্দ্রনাথ হিন্দু বলে তার কোনো লেখাই পাঠ্যবইয়ে থাকা যাবে না এমন নয়। জাতীয় সংগীত বেলায় বাংলাদেশ যেহেতু একটি গনতান্ত্রিক দেশ তাই রবীন্দ্রনাথের "আমার সোনার বাংলা" বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে থাকলে আমার এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে যদি বাংলাদেশে শরীয়া আইন থাকতো তখন জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে মনে করি। রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা করেছিলো এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আছে সেগুলো গুজব।

ইসলামে চুরির শাস্তি

ইসলামে চুরির শাস্তি: (Chatgpt ও অন্যান্য কিছু জায়গা থেকে সংগ্রহ করা) ইসলামে চুরি করার জন্য হাত কাটার শাস্তি প্রযোজ্য হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পত্তি চুরির শর্ত রয়েছে। ইসলামী ফিকহ অনুযায়ী, সাধারণত চুরির জন্য শাস্তি কার্যকর করার ন্যূনতম সীমা (নিসাব) হলো প্রায় ১০ দিরহাম বা তার সমতুল্য সম্পদ। সমকালীন মূল্যে, এটি প্রায় ৪.২৫ গ্রাম সোনা বা তার সমতুল্য মুদ্রা বা সম্পদের পরিমাণ বোঝায়। তবে, এই শাস্তি আরোপ করার আগে কিছু শর্ত পূরণ হওয়া আবশ্যক: 1. শরিয়া বা ইসলামিক আইন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর যদি কেউ চুরি করে। 2. চুরির স্থান: চুরি এমন একটি নিরাপদ জায়গা থেকে হতে হবে যেখানে সম্পত্তি সংরক্ষিত ছিলো। 3. সাক্ষী: নির্ভরযোগ্য দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতি থাকতে হবে। 4. ইচ্ছাকৃত চুরি: কাজটি সম্পূর্ণ সচেতন ও ইচ্ছাকৃতভাবে হতে হবে। 5. দারিদ্র্যের অজুহাত না থাকা: চোর যদি চরম দারিদ্র্যের কারণে চুরি করে, তবে শাস্তি কার্যকর করা হয় না। 6. চুরি হওয়া সম্পদের মালিকানা: চুরি হওয়া সম্পদ প্রকৃত মালিকের হতে হবে অর্থাৎ যার থেকে চুরি করা হয়েছে সে যেনো আসল মালিক হয়; আমার কোনো জিনিস চুরি হয়েছে পরে আমার নিজের জিনিস আমি নিজ...

তকদির বা ভাগ্য

তকদির বা ভাগ্য : [] আমি চাই বলে আমার চাওয়া অনুযায়ী আল্লাহ তকদির লিখেছেন এমন নয়। [] কিন্তু আমার চাওয়া অনুযায়ী যা সাধারণভাবে ঘটবে তা আল্লাহ জানেন। যা ঘটবে তা আল্লাহ জানেন বলে আল্লাহ তকদিরে লিখে রেখেছেন যে এমন ঘটবে। উদাহরণ : > আমি চাই বলে আল্লাহ সূর্য পূর্বদিক থেকে উদিত করেন। ❌ (আল্লাহ তার নিজ ইচ্ছেতেই সূর্য পূর্ব দিক থেকে উদিত করেন। ✔️) > আমি চাই আগামীকাল আমি ফুটবল খেলবো। আর আগামীকাল আমি ফুটবল খেললাম। আমি চেয়েছিলাম বলে আল্লাহ ঘটিয়ে দিলেন এমন নয়। কিন্তু আল্লাহ জানতেন যে এমন ঘটবে তাই আল্লাহ তকদিরে লিখে রেখেছেন যে এমন ঘটবে।  []> কিন্তু কিছু কাজ আল্লাহ আমাদের ইচ্ছে অনুযায়ীও করেন। যেমন: আমি আল্লাহর কাছে চাইলাম একটি নতুন গাড়ি কিনবো। আমি চাই বলে আল্লাহ আমাকে নতুন গাড়ি কেনার সামর্থ্য দিলেন (আমি আল্লাহর কাছে চেয়েছি বলে আল্লাহ আমাকে দান করলেন)। []> আবার কিছু কাজ আল্লাহ তার নিজ ইচ্ছেতেও করেন। যেমন: আল্লাহ চান আমি বাংলাদেশে জন্ম নিই। এ কারণে আমি বাংলাদেশে জন্ম নিয়েছি।

নিজের খেয়াল খুশি মতো কাজ করলে কম্পিউটার আবিষ্কার হতো না। খেয়াল খুশি মতো চলাফেরা করলে প্রতিদিনই এক্সিডেন্ট হবে। যারা বলে "আরে কতো ধর্ম আছে, কোনটা যে সঠিক আর কোনটা যে বেঠিক কী যায় আসে, খেয়াল খুশি মতো চলো" তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

নিজের খেয়াল খুশি মতো কাজ করলে কম্পিউটার আবিষ্কার হতো না। খেয়াল খুশি মতো চলাফেরা করলে প্রতিদিনই এক্সিডেন্ট হবে। যারা বলে "আরে কতো ধর্ম আছে, কোনটা যে সঠিক আর কোনটা যে বেঠিক কী যায় আসে, খেয়াল খুশি মতো চলো" তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

নিজের খুশির খবর অন্যদেরকে জানানো খারাপ নয়। কিন্তু ভাব নিয়ে বলা, show off করা এবং মানুষ যেনো তোমার প্রশংসা করে এ উদ্দেশ্যে বলা ঠিক নয়। মানুষ তোমার ভালো ফলাফল দেখে তোমাকে ভালো ভাবুক এটা ঠিক আছে।

নিজের খুশির খবর অন্যদেরকে জানানো খারাপ নয়। কিন্তু ভাব নিয়ে বলা, show off করা এবং মানুষ যেনো তোমার প্রশংসা করে এ উদ্দেশ্যে বলা ঠিক নয়। মানুষ তোমার ভালো ফলাফল দেখে তোমাকে ভালো ভাবুক এটা ঠিক আছে।

হিন্দু ও মুসলিমকে সমান অধিকার দেয়া যেতে পারে না। যা সমান নয় তা সমান হিসেবে দেখা যাবে না। হিন্দুদেরকে আঘাত দিয়ে কথা বলবো না, তবে...

হিন্দু ও মুসলিমকে সমান অধিকার দেয়া যেতে পারে না। যা সমান নয় তা সমান হিসেবে দেখা যাবে না। হিন্দুদেরকে আঘাত দিয়ে কথা বলবো না, তবে তারা শিরক করে, কুফরি করে। বাংলাদেশে যদি শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে হিন্দুদেরকে এ দেশে থাকতে হলে জিজিয়া দিতে হবে। হিন্দুরা তাদের নিজেদের পূজা প্রার্থনাকে পাপ মনে করে না, তারা ভুল করছে কিন্তু বোঝে না। এখন তারা বোঝে না বলে তাদেরকে সমান অধিকার দিতে হবে এমন নয়, আবার বোঝে না বলে তাদেরকে আঘাত করতে হবে এমনও নয়।

মজা করা আর লোভের মধ্যে পার্থক্য হলো: মজা করা কেবল মজা করেই করা হয়, কিন্তু লোভের ক্ষেত্রে লোভ মজা করে নয়, ছিরিয়াছলিই করা হয়।

মজা করা আর লোভের মধ্যে পার্থক্য হলো: মজা করা কেবল মজা করেই করা হয়, কিন্তু লোভের ক্ষেত্রে লোভ মজা করে নয়, ছিরিয়াছলিই করা হয়।

কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করা নিন্দা নয়। কারো খারাপ দিন প্রয়োজনে অন্যদেরকে বলা নিন্দা নয়। প্রতিবাদ করা নিন্দা নয়। অন্যরাও যেনো প্রতিবাদ করে এ কারণে অন্যদেরকে কারো খারাপ দিক বলা নিন্দা নয়। নিন্দা হলো প্রয়োজন ছাড়া কারো খারাপ দিক তুলে ধরা।

কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করা নিন্দা নয়। কারো খারাপ দিন প্রয়োজনে অন্যদেরকে বলা নিন্দা নয়। প্রতিবাদ করা নিন্দা নয়। অন্যরাও যেনো প্রতিবাদ করে এ কারণে অন্যদেরকে কারো খারাপ দিক বলা নিন্দা নয়। নিন্দা হলো প্রয়োজন ছাড়া কারো খারাপ দিক তুলে ধরা।

হিন্দুরা যেমন জানে না তাদের ঈশ্বর কেন মানুষকে অনেক নির্মম কষ্ট দেন। ঠিক তেমনি আমরাও জানি না যে কেন আল্লাহ...

হিন্দুরা যেমন জানে না তাদের ঈশ্বর কেন মানুষকে অনেক নির্মম কষ্ট দেন। ঠিক তেমনি আমরাও জানি না যে কেন আল্লাহ মানুষকে নির্মম কষ্ট দেন রহমানুর রাহিম হওয়া সত্ত্বেও। আল্লাহর দোষ ধরতে এলে অন্য ধর্মের দেবতা ও ঈশ্বরেরও ভুল ধরার আছে। তারা না জানা সত্ত্বেও যদি তাদের ধর্ম পালন করতে পারে, তাহলে আমরা কেন আমাদের ধর্ম পালন করতে পারবো না।  নাস্তিকদের সাথে কথা বলতে গেলে, সৃষ্টিকর্তা আছেন এমন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আমরা যেমন জানি না space (স্থান) কীভাবে সৃষ্টি হলো এতে বোঝা যায় আমাদের বুঝার সীমাবদ্ধতা আছে, তাহলে আমরা ধরে নিতেই পারি যে আমরা আল্লাহর ন্যায়নিষ্ঠতা বোঝার যোগ্য নই, সীমাবদ্ধতা থাকার ফলে।

আমার কথা বলার ক্ষমতাও আল্লাহ সৃষ্টি, আমার চিন্তা করার যে ক্ষমতা সেটাও আল্লাহর সৃষ্টি...

আমার কথা বলার ক্ষমতাও আল্লাহ সৃষ্টি, আমার চিন্তা করার যে ক্ষমতা সেটাও আল্লাহর সৃষ্টি, আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সেটাও আল্লাহর সৃষ্টি, আমার আত্মা বা রুহও আল্লাহর সৃষ্টি। আমার সবকিছুর মালিক আল্লাহ তায়ালা।  কিন্তু আমি যদি একজন দাস ক্রয় করি তাহলে তার সবকিছু কিন্তু আমার নয়, আমি কিন্তু সে দাসের আত্মা বা রুহ সৃষ্টি করিনি, আমি কিন্তু সে দাসের কথা বলার ক্ষমতা সৃষ্টি করিনি, আমি কিন্তু সে দাসের শরীর সৃষ্টি করিনি, ফলে আমি তাকে কষ্ট দেয়ার অধিকার রাখি না।