Posts

Showing posts from August, 2025

এটা মানেই ওটা নয়

এটা মানেই ওটা নয় — আহসানুল ইরফান (কুরআন, হাদিসের সরাসরি অনুবাদ নয়, সুক্ষ্ম ব্যাখ্যার ওপর নির্ভর করে আমি যতোটুকু বুঝতে পারলাম তার ভিত্তিতে লেখা।) [] যাচাই করে দেখতে হবে তার মানেই এ নয় যে আপনি সবই যাচাই করে দেখবেন। ধরুন কেউ আপনাকে চড় মারলো আর আপনি তখন নেটে সার্চ দিলেন "প্রতিশোধ তোলা হালাল নাকি হারাম?"। কিছু জিনিস আপনাকে নিজের নৈতিকতা অনুযায়ী বিবেচনা করতে হবে, আর কিছু জিনিস আপনাকে কুরআন হাদিস থেকে জানতে হবে। আবার, কিছু জিনিস আপনাকে যাচাই করতে হবে, আর কিছু জিনিস আপনাকে বিশ্বাসের ওপর ছেড়ে দিতে হবে বা বিশ্বাস করে নিতে হবে। হিন্দু ধর্ম বলে— সব ধর্ম ত্যাগ করে কৃষ্ণের শরণাগত হও। ইসলাম বলে— আল্লাহর কাছে মনোনীত একমাত্র ধর্ম ইসলাম। খ্রিস্টধর্ম বলে— যিশু বলেন, "আমিই পথ ও জীবন, আমি ছাড়া কেউ পিতার (স্রষ্টার) কাছে যেতে পারবে না।" কিন্তু আগের কিতাবগুলো অনেককিছু —সবকিছু নয়— বিকৃত হয়ে গেছে। তাই সেগুলো আর পুরোপুরি সঠিক নেই। আপনি যদি কোনো লেখকের বই পড়তে চান, আপনি তো লেটেস্ট সংস্করণই কিনবেন, তাই না? মুসলিমরা বিশ্বাস করে সেই লেটেস্ট সংস্করণ হলো কুরআন। আগের কিতাবগুলো একসময় সম্পূর্ণভাবে সঠি...

আমি কুরআন-হাদিসের সরাসরি অনুবাদ নয় — সূক্ষ্ম ব্যাখ্যার দ্বারা জান্নাত-জাহান্নামের শাস্তির ব্যাপারে যতোটুকু বুঝতে পারলাম তা হলো

আমি কুরআন-হাদিসের সরাসরি অনুবাদ নয় — সূক্ষ্ম ব্যাখ্যার দ্বারা জান্নাত-জাহান্নামের শাস্তির ব্যাপারে যতোটুকু বুঝতে পারলাম তা হলো— কেউ একজন কেবল অমুসলিম পরিচয়ের জন্য বা বলতে পারি সে যে সমাজে অমুসলিম নামে পরিচিত কেবল তার এ পরিচয়ের জন্য জাহান্নামে যাবে, ব্যাপারটা এমন নয় (সে তার কর্মের জন্য জাহান্নামে যাবে)। আবার কেউ একজন কেবল তার নবি পরিচয়ের জন্য বা সমাজে যে তিনি নবি নামে পরিচিত কেবল এই পরিচয়ের জন্য জান্নাতের উচু স্থান পাবেন, এমনও নয় (তিনি তার কর্মের জন্য জান্নাতের উচু স্থান পাবেন)। আল্লাহ একজন মানুষের জীবনের পরিস্থিতি, সুযোগ, বোঝাপড়া, অনিচ্ছাকৃতভাবে করা, বুঝে করা— এসব কিছু মিলিয়ে তার বিচার করবেন, এবং সে বিচার অনুযায়ী তাকে জান্নাতের উচ্চ স্থান, নিম্ন স্থান, অথবা জাহান্নামের উচ্চ স্থান, নিম্ন স্থান-কাউকে বেশি, কাউকে কম দেবেন। আল্লাহ মিযান দিয়ে পাপ-পুণ্যের হিসাব করবেন— তার মানে ব্যাপারটা এমন নয় যে আল্লাহ মেপে দেখার ক্ষেত্রে মিযানের ওপর নির্ভরশীল। স্রষ্টা যে এক— এটা একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি বা বিশ্বাস, সবাই এই বিশ্বাস নিয়ে জন্ম নেয়। কেউ যখন সমাজের ভুল বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, বা না বুঝে এই...

গালি দেয়া, তিরস্কার করা, ধমক দেয়া, অপমান করা, ব্যঙ্গ করা, শাসন করা... এগুলোর ভেতর পার্থক্য আছে।

গালি দেয়া, তিরস্কার করা, ধমক দেয়া, অপমান করা, ব্যঙ্গ করা, শাসন করা... এগুলোর ভেতর পার্থক্য আছে। [1] ইসলামে শুধু অপমান বা গালির কারণে কাউকে মারধর করা বৈধ নয়, তবে জালিমের বিরুদ্ধে বদদোয়া বৈধ তবে উত্তম নয়, খারাপ শব্দ ব্যবহার না করে অপমানের জবাব অপমান দিয়ে করা বৈধ তবে উত্তম নয়, প্রতিশোধের দোয়া করা বৈধ কিন্তু উত্তম নয়। > বড়োদের তুই তুকারি করা জায়েজ নয়, যদিও সে অন্যায়কারী হয়ে থাকে। [2] অন্যায়কারীকে নিয়েও ব্যঙ্গ করা নিষেধ। [3] তিরস্কার ও কুটুক্তি করা এক নয়। তিরস্কার অনেক ক্ষেত্রে জায়েজ, কিন্তু কুটুক্তি কোনো ক্ষেত্রেই জায়েজ নয়। [4] কোনো ছোটো বাচ্চা যদি বেশি দুষ্টুমি করে ইসলাম অনুযায়ী কি তাকে মারা যেতে পারে? (না) [5] স্ত্রীকে কি মারা যেতে পারে? (না) ____________________________________________________ কেউ যতোবারই আপনাকে গালি বা অপমান করুক না কেন, কেবল মুখের কথার জবাবে মারধর করা ইসলাম অনুযায়ী বৈধ নয়। এভাবে হাত তোললে আপনি নিজেও গোনাহে লিপ্ত হবেন। কুরআনে আল্লাহ বলেন, "আর ভালো কাজ ও মন্দ কাজ সমান নয়। তুমি মন্দকে সেই উত্তম পদ্ধতিতে প্রতিহত করো—তাহলে দেখবে যার সাথে তোমার শত্রুতা আছে সে যেনো অ...

ইসলামে শুধু অপমান বা গালির কারণে কাউকে মারধর করা বৈধ নয়, তবে জালিমের বিরুদ্ধে বদদোয়া বৈধ তবে উত্তম নয়, খারাপ শব্দ ব্যবহার না করে অপমানের জবাব অপমান দিয়ে করা বৈধ তবে উত্তম নয়:

ইসলামে শুধু অপমান বা গালির কারণে কাউকে মারধর করা বৈধ নয়, তবে জালিমের বিরুদ্ধে বদদোয়া বৈধ তবে উত্তম নয়, খারাপ শব্দ ব্যবহার না করে অপমানের জবাব অপমান দিয়ে করা বৈধ তবে উত্তম নয়, প্রতিশোধের দোয়া করা বৈধ কিন্তু উত্তম নয়: কেউ যতোবারই আপনাকে গালি বা অপমান করুক না কেন, কেবল মুখের কথার জবাবে মারধর করা ইসলাম অনুযায়ী বৈধ নয়। এভাবে হাত তোললে আপনি নিজেও গোনাহে লিপ্ত হবেন। কুরআনে আল্লাহ বলেন, "আর ভালো কাজ ও মন্দ কাজ সমান নয়। তুমি মন্দকে সেই উত্তম পদ্ধতিতে প্রতিহত করো—তাহলে দেখবে যার সাথে তোমার শত্রুতা আছে সে যেনো অন্তরঙ্গ বন্ধু হয়ে যাবে।" — (সূরা ফুসসিলাত ৪১:৩৪) [] রাসূল ﷺ–এর সহনশীলতার শিক্ষা: রাসূলুল্লাহ ﷺ–কে মক্কার কাফিররা বহুবার গালি দিয়েছে, অপমান করেছে, এমনকি আবর্জনা ফেলে দিয়েছে। কিন্তু তিনি কখনো প্রতিশোধ নেননি। তিনি ধৈর্য ধারণ করেছেন এবং সাহাবিদেরও ধৈর্যের দিকে উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, "মুমিনদের মধ্যে সে-ই উত্তম, যে মানুষের সাথে মিশে এবং তাদের কষ্ট সহ্য করে।" — (সুনান আত-তিরমিজি, হাদিস২৫০৭; সহিহ) [] নবি ﷺ সাধারণত অভিশাপ দিতেন না: সাহাবারা বলেন, "রাসূলুল্লাহ ﷺ কখনো অ...

কোনো ছোটো বাচ্চা যদি বেশি দুষ্টুমি করে ইসলাম অনুযায়ী কি তাকে মারা যেতে পারে?

কোনো ছোটো বাচ্চা যদি বেশি দুষ্টুমি করে ইসলাম অনুযায়ী কি তাকে মারা যেতে পারে? = কুরআন থেকে স্নেহ ও দয়ার শিক্ষা: "আল্লাহর রহমতেই তুমি তাদের প্রতি কোমল হলে। তুমি যদি রূঢ় ও কঠিন হৃদয়ের হতে, তবে তারা তোমার চারপাশ থেকে সরে যেতো।" — (সূরা আলে ইমরান ৩:১৫৯) শিশুদের প্রতিও আচরণে কোমলতা ও দয়া প্রদর্শনের শিক্ষা এখান থেকে প্রমাণিত। হাদিস থেকে, রাসূল ﷺ শিশুদের প্রতি দয়া করতেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, "যে ছোটোদের প্রতি দয়া করে না এবং বড়োদের সম্মান করে না, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।" — (সুনান আত-তিরমিজি ১৯২০, সহিহ) নামাজ শেখানোর শিক্ষা রাসূল ﷺ বলেছেন, "তোমরা তোমাদের সন্তানদের সাত বছর বয়স হলে নামাজ পড়ার নির্দেশ দাও, আর দশ বছর বয়স হলে (না পড়লে) হালকা শাসন করো, এবং তাদের শয্যা আলাদা করো।" — (আবু দাউদ ৪৯৫, সহিহ) এখানে ১০ বছর বয়স পর্যন্তও মারধরের কথা বলেননি। শুধু ১০ বছর হলে নামাজে গাফিল হলে হালকা শাসন করার অনুমতি দিয়েছেন—এটিও "আঘাতমূলক মার" নয়, বরং শাসনমূলক ও শিক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে। শিশুদের মারধরের নিন্দা এক সাহাবী বললেন: আমি কখনো রাসূল ﷺ–কে কোনো স্ত্রী, কোনো দাস ...

যতো বেশি জানা যায় ততো ভালো, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে বেশি জানার প্রয়োজন নেই এটাও জানা প্রয়োজন।

"যতো বেশি জানা যায় ততো ভালো। যে যতো বেশি জানবে, তার ততো কম ভুল হবে। সর্বজ্ঞ হলেন আল্লাহ, যার কোনো ভুল হয় না। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে যে বেশি জানার প্রয়োজন নেই—এটাও জানা প্রয়োজন। আবার কেউ যদি কম জানার কারণে ভুল করে, তাহলে তাকে অনেক ক্ষেত্রে তিরস্কার করার প্রয়োজন নেই—এটাও জানা প্রয়োজন।"  — আহসানুল ইরফান

ডাইমেনশন

ডাইমেনশন: — আহসানুল ইরফান [] কখন, কেন, কীভাবে, কোথায়, কোন ক্ষেত্রে, কোন দিক থেকে, কতোটা... > কেউ ধরুন বললো, "আমাদের সম্পর্ক থাকবে তসবির সাথে, নামাজের সাথে, মসজিদের সাথে... জন্মদিন পালন করার সাথে নয়, গায়ে হলুদের সাথে নয়..." > আবার কেউ বললো, "না, আনন্দেরও প্রয়োজন আছে। অনেক আলেম-ওলামা জন্মদিন পালন করা হারাম মনে করেন না। কেউ যদি কিছু সময়ের জন্য আনন্দ হিসেবে জন্মদিন পালন করে, আর গায়ে হলুদে যদি হারাম কিছু না থাকে, তাহলে পালন করা যাবে।" তাহলে কে সঠিক? দুজনই সঠিক। কিন্তু দুজন ভিন্ন দুই বিষয় বোঝাচ্ছেন। > কেউ যদি বলে, ধর্মের ফলে মানুষের ভেতর সংঘাত তৈরি হয়, মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ তৈরি হয়— তাই ধর্ম পালনের প্রয়োজন নেই। > আর কেউ যদি বলে, ধর্ম পালনের ফলে মানুষের ভেতর মিল তৈরি হয়, মানুষ সৎ আচরণ করে— তাই ধর্ম পালনের প্রয়োজন আছে। তাহলে কে সঠিক? দুজনই দুই ক্ষেত্রে সঠিক। [] কখন, কেন, কীভাবে, কোথায়, কোন ক্ষেত্রে, কোন দিক থেকে, কতোটা... <?> যার কাছে যেটা সঠিক মনে হয়, সে যদি সেটা না করে, তাহলে কি পাপ? নাকি যার কাছে যেটা সঠিক মনে হয়, সেটা প্রকৃতপক্ষে সঠিক না হলেও তা করা পা...

গণতন্ত্র কি হালাল নাকি হারাম?

গণতন্ত্র কি হালাল নাকি হারাম? (এটা আমার মতামত; আমি সম্পূর্ণভাবে সঠিক নাও হতে পারি — আহসানুল ইরফান) A: গণতন্ত্রকে যদি কোনো দল আদর্শ হিসেবে গ্রহণ না করে, কেবল একটি পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণ করে—এ নিয়তে যে তারা এর মাধ্যমে শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা করবে—তাহলে কি এ ক্ষেত্রে গণতন্ত্র হালাল? B: এতে কি তারা সফল হতে পারবে? A: সফল হোক বা না হোক, যদি নিয়ত থাকে শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা করা, তাহলে কি হালাল হবে? মদ প্রথম ধাপেই নিষিদ্ধ হয়নি, ৩য় ধাপে গিয়ে নিষিদ্ধ হয়েছে। B: এ ক্ষেত্রে তাদের পাপ হবে না, কিন্তু এটা একটি দুর্বল চেষ্টা। আপনি কুমিরের নদীতে ঝাঁপ দিয়ে কুমিরকে হারাবেন? এতে আপনার উপকারের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক বেশি। A: যদি তারা জানে যে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি, তবুও যদি এ কাজ করে, তাহলে কি তাদের পাপ হবে? B: এক্ষেত্রে পাপ হতেও পারে, আবার নাও হতে পারে। সে যদি মনে করে, "আমার জেতার সম্ভাবনা আছে" তাহলে তার পাপ নাও হতে পারে। A: জনগণ তো সবাই গবেষক নয়, তারা তো জানে না গণতন্ত্র হালাল নাকি হারাম। তারা যদি কোনো ইসলামপন্থী দলকে ভোট দেয়, তাহলে কি তাদের পাপ হবে? B: কোনো ব্যক্তি যদি জানে, কোনো কাজের দ্বারা ক্ষতির সম্ভাবনা...

লড়াই— স্বাভাবিকতা, প্রসঙ্গিকতা, আপেক্ষিকতা, পরিমাণ, তুলনা...: — আহসানুল ইরফান

লড়াই— স্বাভাবিকতা, প্রসঙ্গিকতা, আপেক্ষিকতা, পরিমাণ, তুলনা... :   — আহসানুল ইরফান  যখন বলা হয় ছোটো–বড়ো, ভালো–মন্দ, তখন প্রশ্ন ওঠে— কার চেয়ে ছোটো? কার চেয়ে বড়ো? কারো চেয়ে ভালো? কার চেয়ে খারাপ? যদি কোনো নতুন, অসাধারণ জিনিস আবিষ্কার হয়, তখন মানুষ মনে করে— সমাজে হয়তো আবিষ্কারকদের অবদান সবচেয়ে বেশি। কিন্তু একটি সমাজে যেমন একজন আবিষ্কারকের প্রয়োজন আছে, ঠিক তেমনি একজন নবিও প্রয়োজন আছে, একজন ডাক্তারও প্রয়োজন আছে। তাহলে প্রশ্ন ওঠে— সমাজে কি চোর–ডাকাতেরও প্রয়োজন আছে? থাকলে তারা জাহান্নামে কেন যাবে? তখন বলতে হয়— চোর, ডাকাতদের জন্য জাহান্নামেরও প্রয়োজন আছে। যখন বলা হয়, "অতীতে বিজ্ঞানীরা কম জানতো", তখন প্রশ্ন ওঠে— কোন সময়ের তুলনায় কম জানতো? তারা তাদের যুগে, ধরুন, ১৪ ঘণ্টা খেটেছে। আমরা আমাদের যুগে, ধরুন, ১৪ ঘণ্টা খাটছি। যখন বলা হয়, "আমরা সবাই চোর, কেউ বড়ো অথবা কেউ ছোটো। কিন্তু ছোটো চোরকে কেউ চোর বলে না।" তখন প্রশ্ন ওঠে— এখানে চুরি করাকে কি উৎসাহিত করা হচ্ছে? যখন নিজের প্রশংসা করা হয়, তখন প্রশ্ন ওঠে— এখানে অহংকার করে বলা হচ্ছে কি? নাকি প্রয়োজনে বলা হচ্ছে? অনেক সময় এগুলো উল্লেখ করে ...

স্বপ্ন ও তার অলৌকিক ইঙ্গিত

 স্বপ্ন ও তার অলৌকিক ইঙ্গিত: মানবজীবনে কিছু স্বপ্ন এমনভাবে আত্মপ্রকাশ করে, যা নিছক মানসিক প্রতিফলন মাত্র নয়—বরং কখনো কখনো তা ভবিষ্যতের সংকেত, বিশেষ ঘটনার পূর্বাভাস কিংবা এক গভীর আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা হিসেবে প্রতিভাত হয়। ইতিহাসের পরিক্রমায় দেখা যায়, বহু মহান ব্যক্তিত্ব তাঁদের জীবনের মোড় পরিবর্তনকারী গুরুত্বপূর্ণ উপলব্ধি ও অনুপ্রেরণা স্বপ্নের মাধ্যমে লাভ করেছেন। নিচে তেমনি কিছু বিশিষ্ট স্বপ্ন ও তাদের ব্যাখ্যা সুসংহতভাবে উপস্থাপন করা হলো: [] সৎ স্বপ্ন ও নবুয়তের সম্পর্ক: রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, "সৎ স্বপ্ন হলো নবুয়তের ৪৬টি অংশের একটি অংশ।" (সহীহ বুখারী, হাদিস নং ৬৯৮৯, সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ২২৬৩) এ থেকে বোঝা যায়, সত্য ও পরিষ্কার স্বপ্ন কখনো কখনো আধ্যাত্মিক নির্দেশনার উৎস হতে পারে। > নবী ইউসুফ (আ.)–এর স্বপ্ন: ছোটবেলায় নবী ইউসুফ (আ.) তাঁর পিতাকে বললেন, "হে আমার পিতা, আমি স্বপ্নে দেখেছি, এগারোটি তারা, সূর্য ও চাঁদ—আমি দেখলাম তারা আমাকে সেজদা করছে।" (সূরা ইউসুফ, আয়াত ৪) এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা ছিলো: ১১টি তারা = তাঁর ১১ ভাই সূর্য = তাঁর পিতা হযরত ইয়াকুব (আ.) চাঁদ = তাঁর ম...